রোববার   ১৯ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৪ ১৪৩২   ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৯

মাংসের জন্যও শিকার করা হচ্ছে হাতি, বাংলাদেশে গবেষণায় মিলল প্রমাণ

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৫  

বাংলাদেশে হাতি শিকারের নতুন ও উদ্বেগজনক এক দিক উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। দাঁতের জন্য নয়, এবার মাংসের জন্যও হাতি শিকার করা হচ্ছে—এমন প্রমাণ পেয়েছেন একদল গবেষক।

 

চলতি বছরের এপ্রিলে মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন পার্বত্য অঞ্চলের সাঙ্গু-মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনে চার সদস্যের একটি গবেষক দল মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান চালায়। তাদের প্রতিবেদনটি ১৬ অক্টোবর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

 

গবেষণায় বলা হয়েছে, আগে থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে হাতি মাংসের জন্য শিকার করা হয় বলে গুজব শোনা গেলেও এবারই প্রথম তার প্রমাণ মেলে। গত ২৫ এপ্রিল সাঙ্গু-মাতামুহুরীর গহিন বনে একটি মাচার ওপর হাতির মাংস শুকানোর দৃশ্য পান গবেষকরা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তসংলগ্ন সেই স্থানে প্রায় ৩৬ ফুট দীর্ঘ ও তিন ফুট উঁচু মাচার ওপর মাংসের শুকনো টুকরা, হাতির হাড় ও চামড়া আগুনে শুকানোর চিহ্ন পাওয়া যায়।

 

গবেষকদের ধারণা, মাংস সংগ্রহের জন্য একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি হত্যা করা হয়েছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে তারা আরও জানতে পারেন, সম্প্রতি এ ধরনের আরও কয়েকটি হাতি নিধনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কারা এসব শিকারের সঙ্গে জড়িত, তা নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষক দল।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশের শিকারিরাই সীমান্ত এলাকায় অবাধে শিকার চালাচ্ছে। সীমান্তে কাঁটাতারের অনুপস্থিতির কারণে ‘ক্রস-বর্ডার হান্টিং’ সহজ হয়ে পড়েছে।

 

গবেষণা দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে হাতিদের এই এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া থাকে। তারা পুরো পথজুড়েই হাতির মল ও পায়ের ছাপের প্রমাণ পেয়েছেন।

 

গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, দ্রুত কার্যকর সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা না নিলে এ অঞ্চলে হাতির অস্তিত্ব মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।
 

এই বিভাগের আরো খবর