ইরানের ড্রোন উৎপাদন কেন বন্ধ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র?
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২৩
ইউক্রেনে একের পর এক ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। আর এতে ব্যবহার করা হচ্ছে ইরানি ড্রোন। এতে ক্ষুব্ধ ওয়াশিংটন। এ অবস্থায় ইরানের ড্রোন উৎপাদন বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছে বাইডেন প্রশাসন। নতুন করে নিষেধাজ্ঞার চিন্তাভাবনাও করছে হোয়াইট হাউস।
ইরানি ড্রোনে যুক্তরাষ্ট্রের যন্ত্রাংশ
ইউক্রেনে ভূপাতিত করা ইরানের ড্রোনে এক ডজনেরও বেশি মার্কিন ও পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানের তৈরি যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দারা। গেল বছরের শেষ দিকে এ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনকে ইউক্রেনের গোয়েন্দারা অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এনিয়ে হোয়াইট হাউস বেশ উদ্বিগ্ন বলেও জানা গেছে। ইউক্রেনে প্রতি মুহূর্তে শত শত ইরানি ড্রোন পাঠাচ্ছে রাশিয়া। এ অবস্থায় ইরানের ড্রোন উৎপাদন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এবং পশ্চিমাদের তৈরি প্রযুক্তি, বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর এবং জিপিএস মডিউলের মতো ছোট সরঞ্জাম থেকে শুরু করে ইঞ্জিনের মতো বড় অংশে কীভাবে ইরান তার ড্রোনে ব্যবহার করেছে, তা তদন্তে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাইডেন প্রশাসন।
সেই টাস্কফোর্সের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে ভূপাতিত করা ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন থেকে ৫২টি উপাদান বের করা হয়েছে। যার মধ্যে ৪০টি উপাদানই ১৩টি ভিন্ন মার্কিন কোম্পানির তৈরি। বাকি ১২টি উপাদান কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান এবং চীনের কোম্পানিগুলো তৈরি করেছে।
ইরানের ড্রোন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব?
এ সমস্যা সমাধান করার মতো বিকল্প খুবই কম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইরান যেন উন্নত প্রযুক্তিসামগ্রী না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে কঠোর রফতানি নিয়ন্ত্রণ বিধিনিষেধ এবং বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা সেই নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারিত করার দিকে জোর দিচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান এসব উপাদান রফতানি করে তাদের নিজস্ব সরবরাহ চেইন আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও যাচাইবাছাই করার তাগিদ দিয়েছেন।
তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তৃতীয়পক্ষের পরিবেশকদের চিহ্নিতকরণের ওপর। অর্থাৎ যারা এই পণ্যগুলো ইরানের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা, রফতানি নিয়ন্ত্রণ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে ইরানের ড্রোন উৎপাদন বন্ধে কী কী করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। ড্রোনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি যেন ইরান আর না পায় সেজন্যও রফতানি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তবে ড্রোনের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী যেসব প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আইন লঙ্ঘন করছে, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান আরও কঠোরভাবে রফতানি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে ড্রোনের উপাদানগুলো শেষ পর্যন্ত কাদের হাতে যাবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায়ই নির্মাতাদের পক্ষে খুব কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যেভাবে যন্ত্রাংশ পাচ্ছে ইরান
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সক্রিয় নয় এমন শেল প্রতিষ্ঠান বানিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সামরিক সরঞ্জাম কেনা রাশিয়া ও ইরানের জন্য খুব কঠিন কিছু না। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্মোচন করতে করতে বছরের বেশি সময় লেগে যায়। মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স শিল্প তৃতীয় পক্ষের ডিস্ট্রিবিউটর এবং রিসেলারদের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে, যেগুলো ট্র্যাক করা কঠিন।
ইরান এবং রাশিয়ার ড্রোনে যে মাইক্রোচিপ ও অন্যান্য ছোট ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তা অনেক সস্তা এবং সহজলভ্য। তাই খুব সহজে ইরান ও রাশিয়া এগুলো ব্যবহার করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা হীরার উদাহরণ দেন। তারা বলছেন, হীরা দেখতে অনেক ছোট এবং হালকা। কিন্তু দামের দিক দিয়ে অনেক মূল্যবান। কম্পিউটার চিপের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য।
কেন ইরানের ড্রোন উৎপাদন বন্ধ জরুরি?
পশ্চিমাদের জন্য ইরানের ড্রোন উৎপাদন বন্ধ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে কারণ। রাশিয়া নিরলসভাবে ইউক্রেনজুড়ে ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসামরিক এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে মস্কো।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের সহায়তায় ড্রোন উৎপাদনের জন্য নিজস্ব কারখানা স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেনের সেনারা মাত্র দুই দিনে ৮০টিরও বেশি ইরানি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। জেলেনস্কি আরও বলেন, ইরানের শাহেদ ড্রোন দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী আক্রমণের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। আর এমন গোয়েন্দা তথ্য তাদের কাছে আগে থেকেই ছিল। ইউক্রেনের জনগণ, আকাশ প্রতিরক্ষা এবং বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ড্রোনের ৮২ ভাগ উপাদান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের বানানো। কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চের ডেপুটি ডিরেক্টর অব অপারেশনস ড্যামিয়েন স্প্লিটার্স সিএনএনকে বলেন, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা কেবল তখনই কার্যকর হবে যখন তারা ড্রোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলোকে শনাক্ত করতে পারবে। এছাড়া কীভাবে এই যন্ত্রাংশগুলোকে তাদের হাতে যাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করার তাগিদ দেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে চায়, তবে তাদের আরও সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। সেইসঙ্গে পণ্যের বিক্রেতা এবং পুনঃবিক্রেতাদের ট্র্যাক করার জন্য আরও বেশি লোকবল নিয়োগ করতে হবে। তাদের মতে, শিল্প নিরাপত্তা ব্যুরোর মতো এজেন্সিগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার কথা কেউই ভাবেনি।
- ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন আসিফ মাহমুদ, পদত্যাগ সরকারের সিদ্ধান্তে
- লাকসামে বিএনপির গণসংযোগকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর
- ৫০ শতাংশ সেনা সদস্য সরিয়ে নেওয়ার তথ্য গুজব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৫০ শতাংশ সেনা সদস্য সরিয়ে নেওয়ার তথ্য গুজব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- লাকসামে মানবিকতার সুযোগে দখলবাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
- নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
- জনগণই আমার শক্তি, কুমিল্লা-২ এ আলোচনায় আ. মতিন খান
- জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
- মেসির বিশ্বরেকর্ডের রাতে ঐতিহাসিক সেমিফাইনালে ইন্টার মিয়ামি
- ড. ইউনূসের উচিত মন্তব্যে সংযম বজায় রাখা: রাজনাথ সিং
- দলীয় স্বার্থ নয়, জনগণের কল্যাণই সরকারের দায়িত্ব: তারেক রহমান
- জামায়াতের লক্ষ্য সরকার গঠন, বিরোধী আসনে বসা নয়
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সমঝোতা হয়নি, এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে
- তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি দ্রুত শেষের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি
- মাইকিং করে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা
- পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় আহমদ উল্লাহকে লাকসামে সংবর্ধনা
- “আমার নামের আগে বিশেষণ ব্যবহার করবেন না” — তারেক রহমানের অনুরোধ
- শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা
- ড.জাকির নায়েকের সফর বাতিলের প্রতিবাদে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল
- ড.জাকির নায়েকের সফর বাতিলের প্রতিবাদে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল
- বুটেক্সে অনুষ্ঠিত হল তিন দিনব্যাপী ‘স্পিনার্স ফিয়েস্তা ৩.০’
- ঠাকুরগাঁওয়ে বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২
- একদিনে কুয়েত, আমিরাত ও নেপালের কাছে হারল ভারত
- ২০ মিনিটে তিনবার আঘাত, পান্তকে নিয়ে উদ্বেগে ভারত
- ইস্তাম্বুল শান্তি সংলাপ ব্যর্থ,পাকিস্তান–আফগান বৈঠক চুক্তিহীন শেষ
- খাবারে পোকা নিয়ে পোস্ট, শিক্ষার্থীর উপর চড়াও ছাত্রীসংস্থার নেত্রী
- দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে শহীদ মিনারে হাজারো প্রাথমিক শিক্ষক
- জোর করে দাবি আদায় করতে চায় কিছু রাজনৈতিক দল: আমীর খসরু
- পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ এখনো আছে: ট্রাম্প
- আ.লীগ জনগণকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সহিংসতা চালাতে চায়: শফিকুল আলম
- অশ্রু আর ক্ষোভে ভরা তৃণমূল
- মধ্যরাতে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার
- ভারতে মারা গেলেন ‘হাসিনা বেগম’
- জকসু নির্বাচনকে ঘিরে ১২ দফা দাবি ছাত্রদলের
- সরকারি তিতুমীর কলেজে আন্তঃবিভাগ ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন তারেক
- জোট রাজনীতিতে নতুন চমক: বিএনপির আসনে শরীক দলের প্রার্থী নিশ্চিত
- দুর্ঘটনা রোধে প্রধান ভূমিকা গাড়ী চালকদের দক্ষতার:সেলিম রেজা বাবু
- এনসিপির প্রতীক শাপলা কলি, ধানের শীষের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা
- দেশীয় কর্মসংস্থান ও হুন্ডি রোধে জিএসএ নিয়োগ আইন বহাল রাখার দাবি
- ড.জাকির নায়েকের সফর বাতিলের প্রতিবাদে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল
- হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার আশিক, ধানের শীষ প্রচারে
- হাসিনার শাসনামলে গুমের শিকার আশিক, ধানের শীষ প্রচারে
- বিএনপির ফাঁকা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন জোটের পরীক্ষিত নেতারা
- সূর্যের আলো কম, মনও ভারী: শীতকালীন বিষণ্ণতার কারণ ও প্রতিকার
- প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ
- বুটেক্সে গ্লোবাল চেঞ্জ ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ককে সংবর্ধনা
- টঙ্গীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
- বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ
- বিইউবিটি ইংরেজি বিভাগে সাহিত্য উৎসব লিট কার্নিভাল ২০২৫
- বাংলাদেশীরা সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবেন!
- মিয়ানমারকে ৩১ বছরের ‘পুরনো’ সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত
- পাকিস্তানে ৩০০ রুপি ছাড়ালো টমেটোর দাম
- মোশাররফের দেহ রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ
- জিম্বাবুয়েতে পানির অভাবে দুই শতাধিক হাতির মৃত্যু
- ১০ হাজার সেনা-পুলিশ মোতায়েন
কী ঘটবে আসামে ? - থাইল্যান্ডে বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ১৫
- ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিসা দিল না যুক্তরাষ্ট্র
- শ্রীলংকায় এবার মসজিদে বোমা হামলা
- শ্রীলঙ্কায় রক্তবন্যা: নিহত বেড়ে ২০৭
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
- ছাত্রের সঙ্গে যৌনমিলন, কারাগারে শিক্ষিকা
- সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
- কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোর দল আবারও ক্ষমতায়
- মসজিদ নাকি মন্দির! মামলার রায় আজ
