রোববার   ০২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ১৮ ১৪৩২   ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৯

দেশীয় কর্মসংস্থান ও হুন্ডি রোধে জিএসএ নিয়োগ আইন বহাল রাখার দাবি

মো: সাইফুল আলম সরকার, ঢাকা

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২৫  

দেশিয় কর্মসংস্থান স্বার্থে ও হুন্ডি বন্ধে এয়ারলাইন্স জিএসএ নিয়োেগ আইন বহাল রাখার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এয়ারলাইন্স জিএসএতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

আজ ২ নভেম্বর ২০২৫ইং সকালে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থপাচার বন্ধ, বিদেশি এয়ারলাইন্স গুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা, দেশিয় কর্মসংস্থানের স্বার্থ রক্ষা ও এয়ারলাইন্স গুণগত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার লক্ষে বিদেশি এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট বা জিএসএ নিয়োগ আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে মানবন্ধন করেছে
এয়ারলাইন্স জিএসএতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

 

 

এয়ারলাইন্স জিএসএতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষে রফিকুল ইসলাম এবং নাবিলা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিভিন্ন বিদেশি এয়ারলাইন্সের জিএসএ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে আছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর স্বার্থে জিএসএ নিয়োগ আইন বাতিল করা হলে

 


কর্মসংস্থান হারাবে দেশের মানুষ। পাশাপাশি বিদেশী এয়ারলাইন্স সমুহকে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনি কাঠামোয় এনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন। তা না হলে ব্যর্থ হবে সরকার, বাড়বে গ্রাহক হয়রানি।

 

 

মানববন্ধনে এয়ারলাইন্স জিএসএতে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষে রফিকুল ইসলাম

 


বলেন, জিএসএ গুলো এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিদেশি সদর দপ্তরে পৌঁছে দেয়-যা কেবল বিদেশি কান্ট্রি ম্যানেজার দিয়ে সম্ভব নয়। 

 

 

এছাড়া বক্তব্য রাখেন মাহমুদুল হাসান নাঈম। উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, জিএসএ নিয়োগের চলমান নিয়ম লংঘন করলে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটির বেশি রাজস্ব হারাবে সরকার।

 

অতীত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সাউদিয়া, থাই এয়ারওয়েজ ও এয়ার ইন্ডিয়ার মতো বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো জিএসএ ছাড়া বাংলাদেশে পরিচালিত হলে বাজারে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দীর্ঘ টিকিট লাইনের অভিযোগ উঠেছিল-বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। জিএসএ বাধ্যতামূলক হওয়ার পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে উন্নত হয় এবং টিকিট সিন্ডিকেশন অনেকাংশে কমে যায়।

 


১৯৭০-এর দশক থেকে জিএসএ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের উপস্থিতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, এমনকি প্যান অ্যাম, ইউনাইটেড, লুফথানসা ও কেএলএম-এর মতো বিখ্যাত এয়ারলাইনস চালু করতেও সহায়তা করেছে দেশিয় জিএসএ গুলো।

 

মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর