মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৫ ১৪৩২   ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩৫

বলসোনারোর পতন, লুলার প্রত্যাবর্তন

 অনলাইন ডেস্ক 

প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২  

‘ব্রাজিলের মানুষ ভালো থাকতে চায়, ভালো খেতে চায়, চাকরি করতে চায়। তারা সুযোগ পেতে চায় শিক্ষার। বন্দুকের পরিবর্তে চায় বই। আমরা শান্তি, গণতন্ত্র এবং মর্যাদা চাই। আমরা এখন এক মানুষ।’

তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় কথাগুলো বলছিলেন লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। কারণ তিনিই হতে যাচ্ছেন লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশটির প্রেসিডেন্ট। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোকে হারিয়েছেন লুলা। 

নির্বাচনে তাদের মধ্যে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষ ধাপের ভোটগণনা শেষে লুলা দা সিলভা পেয়েছেন ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। আর ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলসোনারো।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট লুলাকে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। ৭৭ বছর বয়সী এ নেতার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠান হতে পারে আগামী ১ জানুয়ারি।

jagonews24

লুলা দা সিলভা বামপন্থী রাজনীতিবদ আর বলসোনারো কট্টর ডানপন্থী। 

এই জয়ে বিশ্বনেতারা লুলাকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লুলাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। 
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ টুইটারে লুলালে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এর আগে, ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন লুলা। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তারপরও নির্বাচনে জিতে রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল সাবেক প্রেসিডেন্টের।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও লাগামহীন কথাবার্তার জন্য সমালোচিত ছিলেন বলসোনারো। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর তিনি ব্রাজিলকে রক্ষায় তেমন কোনো পদক্ষেপ নেননি। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে মহামারির সময় অব্যবস্থাপনার অভিযোগও রয়েছে।

তবে আমাজন বন উজাড় করার কথা বলে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত ছিলেন বলসোনারো। সব মিলিয়ে তলানিতে ছিল তার জনপ্রিয়তা। 

এই বিভাগের আরো খবর