মঙ্গলবার   ১১ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৬ ১৪৩২   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭১

শেষ হচেছ জনতাব্যাংকের এমডি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সফল অধ্যায়

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৩  

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম আজাদের দক্ষতায় ব্যাংকটি ঘুড়ে দাড়িয়েছে। তিনি ২০১৭ ডিসেম্বরে জনতা ব্যাংকের এমডি পদে যোগদান করেন। তখন জনতা ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট মাইনাস ছিল। ২০১৯ সালে অপারেটিং প্রফিট হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে এসে অপারেটিং প্রফিট হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকার বেশি। একইসঙ্গে নিট প্রফিট ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ২৪ কোটি টাকা। সেটি ২০২১ সালে হয়েছে ৩০০ কোটি, গত বছরে যা আরও বেড়ে হয়েছে ৩১০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে আমদানি, রপ্তানি এবং আমানত ও ঋণের পরিমাণ ২০১৯ এর তুলনায় ২০২২ সালে ব্যাপক বেড়েছে। ২০১৯ সালে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৬৯১৪০ কোটি টাকা, ২০২২ সাল শেষে জনতা ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১,০১,৪৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৪ হাজার কোটি টাকা, ২০২২ সাল শেষে ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা। ইপিএস (আর্নিং পার শেয়ার) ছিল ২০১৯ সালে ১ দশমিক ৬ টাকা, ২০২২ সালে এসে হয়েছে ১৩ দশমিক ৪১ টাকা। অপর দিকে চলতি সময়ে ডলারের সংকটের মধ্যেও জনতা ব্যাংকের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলক ভালো। চলতি অর্থবছরে (জুলাই থেকে মার্চ) এলসির মাধ্যমে মোট ৫ বিলিয়ন ডলার পণ্যের আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি আমদানি প্রায় ৪ বিলিয়ন, বাকিটা বেসরকারি আমদানি ছিল। এছাড়া তার দায়িত্ব পালনকালে কোন ধরণের বিদেশি এলসি পেমেন্টে ব্যর্থ হয়নি। যদিও অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এলসি পেমেন্টে ব্যর্থ হওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে। জনতা ব্যাংকের রপ্তানির পরিমাণ অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় বেশি, এই অর্থবছরে প্রায় দুই বিলিয়নের বেশি রপ্তানি হয়েছে। অপর দিকে ২০১৯ এর আগে জনতা ব্যাংক অন্য রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে ছিল। জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণের দিক থেকে ১ নম্বরে ছিল। একপর্যায়ে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪৪% ছিল। সেখান থেকে ব্যাংকটি উঠে এসেছে। বর্তমানে খেলাপি ঋণ ১৭% । গত ২০২২ এর সেপ্টেম্বরে জনতার খেলাপি ঋণ ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা, এখন সেটা ১৪,৩০০ কোটি টাকা দাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে আরও কিছু ঋণ আদায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং আগামী ২০২৩ এর জুনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় হবে যা পাইপলাইনে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। প্রজাতন্ত্রের সাধারণ কর্মচারীদের থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করার সুবিধা পাবার কথা । কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রশাসনের সকল স্তরে মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ব্যাংকের এমডি পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত কিভাবে বাস্তবায়ন করবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করছে না। এ কারনে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধ মোঃ আব্দুস সালাম আজাদ এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। দেশের অভিজ্ঞ এ ব্যাংকার চলতি মাসের চলতি মাসের ২৭ তারিখ অবসরে যাবেন।

এই বিভাগের আরো খবর