শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২২ ১৪৩২   ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩

৫২ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলকে পেল হাইতি!

মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫  

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ৫২ বছর আগে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা, ইতালি ও পোল্যান্ডের মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষকে পাওয়া ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতি এবার ফিরেছে আরও ভয়াবহ গ্রুপে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্রয়ে কানাডার কিংবদন্তি ওয়েন গ্রেটৎজকির হাত ধরে হাইতির নাম উঠতেই নিশ্চিত হয়, এবার তাদের লড়তে হবে ব্রাজিল, মরক্কো ও স্কটল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে।

 

তবে মাঠে প্রতিপক্ষের চেয়েও বড় বাধা তৈরি করেছে রাজনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে হাইতির সমর্থকরা আদৌ মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

 

 

এটি ফুটবল ইতিহাসে হাইতির দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে হাইতি ‘গ্রুপ ফোরে’ আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে হেরেছিল। এবার তারা পড়েছে ‘সি’ গ্রুপে। ফরাসি কোচ সেবাস্তিয়ান মিগনের দল গত মাসে নিকারাগুয়াকে হারিয়ে কনক্যাকাফ বাছাইয়ে শীর্ষস্থান নিয়ে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করে।

 

 

 

কোচ মিগনে বলেন, "ব্রাজিলের মতো শীর্ষ দলের বিপক্ষে খেলাটা হাইতির মানুষদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। বিশ্বকাপে বড় দলের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি নজর কাড়ার সুযোগ পাওয়া সম্ভব না।"

তবে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে কোচ মিগনে গত নভেম্বর পর্যন্ত নিজ দেশ হাইতিতে পা রাখতে পারেননি। ফলে দলটিকে ৫০০ মাইল দূরে কুরাসাওয়ে নিজেদের ঘরের ম্যাচ খেলতে হয়েছে।

 

 

বিশ্বকাপের মূল ভেন্যু যুক্তরাষ্ট্রে হলেও, হাইতির সমর্থকদের সেখানে গিয়ে খেলা দেখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত জুনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে যে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, হাইতি তার মধ্যে একটি।

 

ড্র শেষে হাইতি কোচকে যখন রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি সরাসরি বলেন:

 

"এটা মিস্টার ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে।" ফিফা শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ট্রাম্পের এই সদিচ্ছা টিকে থাকবে এবং ভক্তদের তিনি এখানে আসার সুযোগ করে দেবেন—এমনটাই আশা প্রকাশ করেন মিগনে।

 

বিশ্বকাপে খেলার গৌরব অর্জন করেও, ভক্তদের গ্যালারিতে উপস্থিতি নিয়ে হাইতিকে এখন নির্ভর করতে হচ্ছে হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্তের ওপর।

এই বিভাগের আরো খবর