মেনিসকাস চোট সত্ত্বেও খেললেন নেইমার, জানালেন কেন নামতে হলো

বাঁ হাঁটুতে মেনিসকাস চোট সত্ত্বেও সবাইকে অবাক করে ব্রাজিলিয়ান সিরি আ-তে আবারও মাঠে নামলেন নেইমার। চিকিৎসকদের বিশ্রামের পরামর্শ থাকলেও সান্তোসকে অবনমন থেকে বাঁচাতে দলীয় দায়িত্ব থেকেই খেলতে নামেন তিনি। স্পোর্টের বিপক্ষে ৩–০ গোলের জয়ে একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে আরেকটি গোল করান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।

গত মঙ্গলবার ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছিল, নেইমারের চোট গুরুতর, এ বছর তাঁর আর মাঠে না নামার সম্ভাবনাই বেশি। ক্লাব চিকিৎসক ও নেইমারের ব্যক্তিগত স্টাফরাও একই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, সামনে রয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপ, আর নেইমার দুই বছরের বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে। এমন ঝুঁকির মধ্যেও আজ মাঠে নামেন তিনি।

ম্যাচের পর নেইমার জানালেন, সান্তোসকে সিরি আ-তে টিকে থাকতে সাহায্য করতেই তিনি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর ভাষায়,
“চোটটা বিরক্তিকর। কিন্তু এটা আমাকে থামাতে পারবে না। এখন সান্তোসের কথা ভাবার সময়।”

২৫ মিনিটে গোল করা নেইমার সতীর্থ হোয়াও সিমিতকেও দিয়ে গোল করান। প্রতিরোধক ব্যবস্থা বেঁধে বাঁ পায়ের চোট সামলেই ৮৯ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অমান্য করেছেন কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন,

“এটা অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি চিকিৎসকদের অগ্রাহ্য করিনি। এটা যৌথ সিদ্ধান্ত।”

ম্যাচ বিরতিতেও সংবাদমাধ্যমকে নেইমার বলেন,

“সত্যি বলতে কিছু ঠিক নেই। কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারকে আমি বিপদে ফেলব না। মানুষ অনেক আজেবাজে কথা বলে—এসব খুব কষ্ট দেয়।”

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে দুই ধাপ এগিয়ে পয়েন্ট তালিকার ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে সান্তোস। ১৭তম স্থানে থাকা ভিতোরিয়ার চেয়ে তারা ২ পয়েন্ট এগিয়ে। সিরি আ-তে সান্তোসের সামনে রয়েছে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আগামী বৃহস্পতিবার জুভেন্তুদের বিপক্ষে ম্যাচেও খেলবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নেইমার।

নেইমারের জয়ের ম্যাচে পারফরম্যান্স দেখে সান্তোস কোচ হুয়ান পাবলো বলেন,

“নেতৃত্ব এভাবেই তৈরি হয়। নেইমারের প্রতিশ্রুতি ও প্রভাব সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।”