শনিবার   ১৭ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭৫

আফ্রিকার ৮ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার মালয়েশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১  


বিশ্বজুড়ে দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। এর মাঝে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলো।

এদিকে, ওমিক্রনের বিস্তার নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খায়েরি জামালউদ্দিন।


তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় ২১ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণকারীদের মধ্যে ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩০৬ জনের ওমিক্রন ধরা পড়ে। স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটেছে কি না তা জানতে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এপর্যন্ত একজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, গোটা বিশ্বে যখন এটি ছড়িয়ে পড়েছে তখন আর আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখার কোনো কারণ নেই।

jagonews24

মালয়েশিয়ার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়া দেশগুলো হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, মালয়ে, বতসোয়ানা, ইসোয়াতিনি, লেসোথো এবং নামিবিয়া।


বর্তমানে ওমিক্রনের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উচ্চ ঝুঁকির দেশগুলো থেকে ভ্রমণকারীদের পিসিআর টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। দেশে প্রবেশের পর ডিজিটাল ট্র্যাকারের মাধ্যমে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, পুরোপুরি করোনার টিকা নেওয়া ভ্রমণকারীদের ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে গাইডলাইন অনুযায়ী, তারা বাড়িতেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার আবেদন করতে পারবেন।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পরে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববাসীকে। একই সঙ্গে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানায়। এর পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসতে থাকে বিভিন্ন দেশ থেকে। সবার আগে যুক্তরাজ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর প্রতিবেশী ছয়টি দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও অনেক দেশ একই পথে হাঁটে। একে ‘শাস্তি’ হিসেবে দেখছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার।

এই বিভাগের আরো খবর