বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৭ ১৪৩২   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৯৩

ভ্যালেন্টাইন ডে ও মাতৃভাষা দিবসে কোটি টাকার গোলাপ বিক্রির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী গ্রাম এলাকায় ‘গোলাপপল্লি’ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর এই গ্রাম থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোটি টাকার গোলাপ বিক্রির আশা করছেন এ গ্রামের চাষিরা।
প্রতিবছর গোলাপপল্লি থেকে প্রায় তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) গোলাপপল্লিতে সরেজমিন দেখা যায়, বাগানে ছেয়ে আছে সারি সারি নানা রঙের গোলাপে। একটি-দুটি নয়, এ যেন গোলাপের স্বর্গরাজ্য। শীতল বাতাসে ফুলের সুবাস ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। সারা রাত শিশিরে ভেজা গোলাপগুলো জানান দিচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের বার্তার। যেদিকে চোখ যায় শুধুই ফুলের সমারোহ। যেন প্রকৃতি তার আপন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী গ্রামে বাগানগুলোতে তরতাজা গোলাপ ফুলের নিখাদ সৌরভ আর নান্দনিকতা সবাইকে মুগ্ধ করছে।

এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ফুল। গোলাপের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে গ্ল্যাডিওলাস। দিনের শুরুতেই বাগান থেকে ফুল তুলে বিক্রির জন্য ফুল কাটা, বাছাই আর বাঁধেন চাষিরা। প্রতিটি বাগানে কাজ করছেন ৫ থেকে ৬ জন শ্রমিক। চলতি মাসে দিবসগুলোতে ভালো দামে ফুল বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। তাই বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এক চাষি বলেন, সামনে ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি। তাই আশা করছি ব্যবসা ভালো হবে। গত বছর দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছিলাম। এ বছর ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।

বরইতলী ইউনিয়নে এ বছর ১০০ একর জমিতে ৯০ জন কৃষক গোলাপের আবাদ করেছেন। একেকটি বাগানে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত ফুল ফোটে। তরতাজা এসব গোলাপের অধিকাংশই চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলে যায়। বিশেষ দিনগুলোতে এসব ফুলের চাহিদা থাকে তুঙ্গে।

ফুল চাষ সম্প্রসারণে বাগান মালিকদের সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন কক্সবাজার চকরিয়া বরইতলী গোলাপবাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে। আমরা শুনেছি যে সরকার ফুলচাষিদের প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু কোনো কৃষক বা ফুলচাষি কোনো ধরনের প্রণোদনা পাচ্ছে না।’

এদিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার সুযোগ না থাকলেও গোলাপের আবাদ বৃদ্ধির জন্য চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার চাকরিয়ার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।
উল্লেখ্য, পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে এক কোটি টাকার গোলাপ ও গ্ল্যাডিওলাস ফুল বিক্রির আশার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

এই বিভাগের আরো খবর