ব্রেকিং:
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২২ ১৪৩২   ১১ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৬০৩

কুড়িগ্রামের ঘোগাদহে ভাতিজা কর্তৃক চাচা হয়রানীর শিকার

আবুল হোসেন বাবুল, কুড়িগ্রাম থেকেঃ

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

কুড়িগ্রামের ঘোগাদহ ইউনিয়নের সুবনদহ মৌজার চৌধুরী পাড়া গ্রামের মৃত- আজিত উল্ল্যাহ ব্যাপারীর পুত্র ফজদ্দি মামুদের বিরুদ্ধে আপন ভাতিজা রফিকুল নানা ভাবে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাচার বিরুদ্ধে ভাতিজার বিভিন্ন দপ্তরে সাজানো অভিযোগ দাখিলের পাশাপাশি সম্মানহানীর উদ্দেশ্যে পোস্টারিং করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আজিত উল্ল্যাহ ব্যাপারীর মৃত্যুর পরে ৫ পুত্র ও স্ত্রী মিলে প্রায় ১০ বিঘা জমির মালিক হয়। ফজদ্দি মামুদ বাদে বাকী ভাইয়েরা তাদের ভাগের জমি গুলো বিক্রয় করে নিঃস্বত্ববান হন। কিন্তু ফজল উদ্দিন ব্যাপারীর পুত্র রফিকুল তার পিতার সম্পত্তির দুই বিঘা দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েক দফায় সদর থানা, সংশ্লিষ্ট ইউপি পরিষদে মিটিং হলে রফিকুলের পিতা এবং ফজদ্দি মামুদের সম্পত্তি ফারাজ করে দেখা যায় রফিকুলের দাবিকৃত জমি অনেক আগেই বিক্রয় করা হয়েছে। তারা আরো জানান, গ্রামে অনেক মহৎ লোক রয়েছে, রফিকুল যদি সত্যিকারে জমি পাওনাদার হতো তাহলে আমরা রফিকুলের সম্পত্তি এই শালিস বৈঠকের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিতাম। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রফিকুলের কোন জমি ফজদ্দি মামুদের কাছে নেই। যা রয়েছে তা পৈত্রিক সূত্রে ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত। উল্লেখ্য, আদালতে ইতিপূর্বে তিনটি মামলাতেও তার প্রমাণ হয়েছে। ফজদ্দি মামুদ বলেন- রফিকুলের বাবা আমার বড় ভাই ফজল এর জমি বিভিন্ন সময়ে বিক্রি করলে ৪ শং, ১৪ শং ও ১২ শং মিলে ৩০ শতাংশ আমি দলিল মূলে ক্রয় করি। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ফজল মামুদের জমি প্রায় ১০ শং, ১৪ শং, ০২ শং, ০৪ শং মোট ৩০ শতাংশ বিক্রয় করেছে। আমি কোন অন্যায় করিনি। আমার ভাতিজা রফিকুল আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করছে। আমাকে হেয় করার জন্য সে পত্রিকায় প্রকাশ ও পোস্টারিং করেছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর