রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৩ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩

১৬ বছর পর ফিরল জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ

সুমন হোসেন

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫  

দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের ৬১১টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী এই মেধা যাচাই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে।

 

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের আলোকে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী:

  • আজ (রোববার): বাংলা

  • সোমবার (২৯ ডিসেম্বর): ইংরেজি

  • মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর): গণিত

  • বুধবার (৩১ ডিসেম্বর): বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

 

 

মোট ৫টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে এই বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শিক্ষা বোর্ড কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের কথা জানিয়েছে সাধারণ ক্যালকুলেটর ছাড়াও ক্যাসিও (Casio) ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট ৮টি মডেলের (Fx-82MS, 100MS, 570MS, 991MS, 991Ex, 991ES, 991ES Plus এবং 991CW) নন-প্রোগ্রামাবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নিষিদ্ধ মডেলের ক্যালকুলেটর নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।

 

 

পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে শিক্ষা বোর্ডগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন পরিদর্শক (শিক্ষক) নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

 

 

অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়নে শীর্ষ ২৫ শতাংশের মধ্যে ছিল, তারাই এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হবে— ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি। নিয়ম অনুযায়ী, বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্র এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

 

 

সর্বশেষ ২০০৯ সালে অষ্টম শ্রেণিতে এই বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রবর্তনের ফলে আলাদা করে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারের অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবারও এই প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হলো।

এই বিভাগের আরো খবর