প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়ঙ্করতম যুদ্ধক্ষেত্র
সৌমিক অনয়
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮
বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্র এবং প্রাচীন যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে যুদ্ধের ধ্বংসলীলা বাড়লেও কমেছে মৃত্যুহার। কিন্তু প্রাচীন যুদ্ধগুলো এমন ছিল না। সে সকল যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে সম্মুখ যুদ্ধই বেশি হতো। আর মানবক্ষয় বা মৃত্যুহার বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। বর্তমান যুদ্ধের কথা চিন্তা করলে একশ বছর আগে সংগঠিত হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ মোটামুটি প্রাচীন যুদ্ধই বলা চলে। তখনো আধুনিক সব যুদ্ধকৌশল আবিষ্কৃত হয়নি। বেশিরভাগ যুদ্ধই হয়েছিল সম্মুখ রনক্ষেত্রে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও অনেক বেশি ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এমনই এক রণক্ষেত্র ছিল “ব্যাটেল অফ সম্মে” বা “সম্মে অফেনসিভ”। এই যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও রক্তাক্ত যুদ্ধ। ব্যাটেল অফ সম্মের প্রথম দিনেই প্রাণ হারায় প্রায় ৬০ হাজার সৈন্য। কোথায় হয়েছিল এই যুদ্ধ? কেনই বা এত প্রাণহানী? আর কারাই বা করেছিল এ যুদ্ধ?

‘সম্মে’ ফ্রান্সের উত্তরে অবস্থিত একটি নদীর নাম। এই নদীর তীরে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বলে এই যুদ্ধকে ব্যাটেল অফ সম্মে বলা হয়। ১৯১৬ সালের ১ জুন থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এই ময়দানে যুদ্ধ হয়েছিল। এই যুদ্ধই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেনের প্রথম বড় কোনো অংশগ্রহন। ক্ষয়ক্ষতিও ব্রিটিশ সৈন্যদেরই বেশি হয়েছিল। প্রথম দিনে ব্রিটেন প্রায় ৫৭ হাজার সৈন্য হারায়। সে তুলনায় ফ্রান্স মাত্র ২ হাজার সৈন্য হারায়। এর কারণ ছিল ব্রিটেনের ভুল যুদ্ধকৌশল। যুদ্ধ শেষ হতে না হতেই ব্রিটেন প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, ফ্রান্স ২ লাখ এবং জার্মানী প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার সৈন্য হারায়। কিন্তু কেন ক্ষয়ক্ষতি এত বেশি হয়েছিল?

১৯১৬ সালের প্রথম দিকে ফ্রান্স সেনাবাহিনী সম্মে নদীর তীরে অবস্থিত জার্মান ক্যাম্পে একটি ফ্রাঙ্কো ব্রিটিশ আক্রমণ বা ফ্রান্স ও ব্রিটেন এর সঙ্গে আক্রমণ প্রস্তাব করেন। ভার্দুন যুদ্ধে ফ্রান্সের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতির কারণে ফ্রান্সের সৈন্যসংখ্যা তখন ব্রিটেনের তুলনায় অনেক কম ছিল। তাই এই আক্রমণের নেতৃত্ব নেয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ আর্মি সম্মের উত্তরদিকে ১৪ ডিভিশন পদাতিক সেনা নিয়ে আগাতে থাকে। সৈন্য সংখ্যা কম হওয়ায় ফ্রান্স ৫ ডিভিশন সৈন্য নিয়ে সম্মের দক্ষিণ থেকে অগ্রসর হয়। অপরদিকে প্রতিরক্ষার জন্য জার্মান আর্মি ৭ ডিভিশন সৈন্য নিযুক্ত করেন। ব্রিটেনের আক্রমণ পরিকল্পনা করেন ডগলাস হেইগ এবং হেনরি রলিন্সন। এদের মতমালিন্য এবং জার্মান প্রতিরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে না দেখার কারণে আক্রমণ পরিকল্পনা অপরিনতই থেকে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আর্টিলারি দিয়ে তার জার্মান ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করবেন কিন্তু আর্টিলারি কিছুটা সফল হলেও আর্টিলারি দিয়ে তো আর জার্মান কাটাতার কাটা বা জার্মানগুহাগুলোর ভিতরে ঢুকে তাদের ভারী অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা সম্ভব ছিল না। এসকল কাজ সাধারণ সৈন্যদেরই করতে হয়।

তাছাড়াও আর্টিলারি বাহিনী যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গেই জার্মান সীমানা থেকে দূরে সরে যায়। ফলে পদাতিক সৈন্য এবং আর্টিলারির মধ্যকার তফাৎ বেড়ে যায় এবং পদাতিক সৈন্যরা জার্মান মেশিনগানের সামনে উন্মুক্ত ভাবেই থাকে। অপরদিকে ফ্রান্স ভার্দুন থেকে শিক্ষা নিয়ে আর্টিলারি সামনে রাখেন এবং পদাতিক সৈন্য তার পেছনে। ফলে ফ্রান্সের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও অনেক কম ছিল। আরেকটি কারণ ছিল ডগলাসের শীতকালে আক্রমণ। শীতের কারণে রাতে ব্রিটিশ সৈন্যরা তদের ক্যাম্পের বাইরে বের হতে পারত না। আর জার্মানরা এই সুবিধা নিয়ে রাতে নতুন গর্ত খুঁড়ে তাতে মেশিনগান ও সৈন্য মোতায়ন করতেন। ফলে ব্রিটিশরা সামনে অগ্রসর হওয়ার পূর্বেই জার্মানরা নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে ফেলে। ফলে ব্রিটিশ সৈন্যদের আকস্মিক আক্রমণের শিকার হতে হয়ছিলো। এভাবেই এই যুদ্ধ কেড়ে নেয় লাখ লাখ সৈন্যের প্রাণ। ধারণা করা হয় যুদ্ধ শেষে সর্বমোট ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন প্রাণহানী ঘটেছিল। কি ছিল এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরিনতি?

ব্যাটেল অফ সম্মের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি হলেও মিত্রপক্ষের জন্য এই যুদ্ধ একটি বড় জয় ছিল। ১৯১৬ সালে সংগঠিত হওয়া এই যুদ্ধ ১৯১৪ সালের পরে মিত্রপক্ষের সবচেয়ে বড় জয় ছিল। ব্রিটিশদের জন্য এই যুদ্ধ একটি বড় শিক্ষা হয়ে দাড়ায়। যুদ্ধের এত ক্ষয়ক্ষতির পরে ব্রিটিশ যুদ্ধকৌশলে অনেক উন্নতি করে। তাছাড়াও এই যুদ্ধেই প্রথম ট্যাঙ্ক ব্যবহৃত হয়। ব্রিটিশ এবং ফ্রান্সের মিত্রবাহিনী এই যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মান অধীকৃত অঞ্চলের প্রায় ১০ কি.মি ভেদ করে। এই ক্ষতি জার্মানরা পরবর্তীতে পূরণ করতে পারেনি। এই যুদ্ধ থেকেই মূলত জার্মানীর পরাজয় এবং মিত্রশক্তির জয়ের সূচনা হয়। যে কারণে এই যুদ্ধ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি গুরূত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল।
- ডুয়েট সাংবাদিক সমিতির নতুন সভাপতি মাহতাব সাধারণ সম্পাদক মনির
- বিবিসিকে প্রথম সাক্ষাৎকারে অভিযোগ অস্বীকার করলেন শেখ হাসিনা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কোন দলের দাবি কতটা রাখা হলো
- ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ
- ‘এত ভালো কথা শোনার অভ্যাস নেই’ নাজমুল হোসেন
- সরকার একটি দলকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করছে : ডা. তাহের
- রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- সবজিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে পেঁয়াজ
- ধর্মের নামে রাজনীতি করা একটি দলের হাতে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন
- কুমিল্লা লালমাইতে সৌদি ফেরত এক নারীর সঙ্গে সেলিমের প্রতারণা বিয়ে
- আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
- রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- খিলা আজিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী
- ইউনুস নিজের সই করা জুলাই জাতীয় সনদ লঙ্ঘন করেছেন: সালাহউদ্দিন আহমদ
- দলগুলো নির্বাচনে খেলবে, আর ইসি রেফারির ভূমিকা পালন করবে: সিইসি
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
- তিতুমীর কলেজে ছাত্রশিবিরের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিক্ষোভ
- বুটেক্স সায়েন্স ক্লাবের নেতৃত্বে তাসমিয়া-পিয়াস
- সবার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেবা: সুস্থ জীবনের অধিকার
- সারাদেশে ২০ চোরাগোপ্তা হামলা, ঢাকার প্রবেশমুখে চেকপোস্ট
- ট্রাইব্যুনালে কড়া নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ, সেনাবাহিনী
- ভয়- ভোগান্তি, দেশজুড়ে সতর্কতা
- চট্টগ্রামে কনস্টেবলের হাতেও এসএমজি
- বাজারে শীতের সবজি বেড়েছে, কমেছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম
- একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তের পথে
- টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণে আহত মাদ্রাসা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা
- জুলাই আদেশ জারি হচ্ছে আজ
- শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে জানা যাবে আজ
- ব্রাজিলে কপ-৩০ সম্মেলনে লায়ন রফিকুল ইসলাম শান্ত
- ড.জাকির নায়েকের সফর বাতিলের প্রতিবাদে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল
- নোসাবের ভবানীগঞ্জ শাখায় নেতৃত্ব পেলেন: আশিক-আতাউর
- গ্যাস চুরির অভিযোগে এনসিপি নেতার বাড়িতে অভিযান, সংযোগ বন্ধ
- খাবারে পোকা নিয়ে পোস্ট, শিক্ষার্থীর উপর চড়াও ছাত্রীসংস্থার নেত্রী
- অস্ত্রধারী দেখলেই ব্রাশফায়ার
- ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জনগণের সমর্থন চায় জামায়াত ড. সরওয়ার
- ব্রাজিলে কপ-৩০ সম্মেলনে লায়ন রফিকুল ইসলাম শান্ত
- কমিটি দেওয়ার আগেই তিতুমীর কলেজে জাতীয় ছাত্রশক্তির মশানিধন
- নীলফামারি কলেজে নোসাব সাক্ষাৎ, প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবে
- বগুড়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
- ভুয়া প্রচারণায় জাভান হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন
- সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আর নেই
- দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে শহীদ মিনারে হাজারো প্রাথমিক শিক্ষক
- ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন আসিফ মাহমুদ, পদত্যাগ সরকারের সিদ্ধান্তে
- পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সুযোগ এখনো আছে: ট্রাম্প
- জনকল্যাণের রাজনীতিতে মাঠে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ হাসান
- জামায়াতের লক্ষ্য সরকার গঠন, বিরোধী আসনে বসা নয়
- সবার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেবা: সুস্থ জীবনের অধিকার
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সমঝোতা হয়নি, এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে
- ‘গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে’- মির্জা ফখরুল
- যে কারণে মেয়েরা বিয়ের আগে মিলনের জন্য রাজি হয়
- দ্রুত গর্ভবতী হতে চাইলে যে উপায়গুলো অনুসরন করবেন
- ফার্মেসীতে বিক্রি হওয়া কিছু ওষুধে মিলছে ইয়াবার উপদান
- শিশুদের হাতে বিপদজনক এই গ্লো-স্টিক ললিপপ
- সুইমিং পুলে রোমান্টিক সহবাস!
- ঘুমের মধ্যে মেয়েদের লালা ঝরে?
- কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধের ঘরোয়া উপায়
- ইতিহাসের বর্বরতম নগরী পম্পেই
- যৌন মিলনে ওযুধ খেলে যা হবে!
- মহিলাদের যৌন সুখ বাড়াবে ‘ফোরিয়া’
- অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদী মারা গেছেন
- লেবুর রসেই দূর হবে কিডনির পাথর
- কম সময়ে ওজন কমাতে যেভাবে রসুন খাবেন
- পাঁচ পরিস্থিতিতে যৌনতা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল!
- বিছানায় রক্তের দাগ না পেলে নববধূকে জুতাপেটা!
