বৃহস্পতিবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৮ ১৪৩২   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০

একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্তের পথে

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫  

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন।

 

সরকারি সূত্র জানিয়েছে, একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব বিবেচনা করে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আদেশে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।

 

বিএনপি ও জামায়াতসহ কয়েকটি দলের ভিন্নমতের কারণে এসব সংস্কার প্রস্তাব গণভোটের মাধ্যমে জনমত যাচাই করা হবে। ভোটের ব্যালটে তিন থেকে পাঁচটি প্রশ্ন থাকতে পারে বলে জানা গেছে।

 

তবে কিছু উপদেষ্টা মনে করছেন, একাধিক প্রশ্ন থাকলে ভোটারদের সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হতে পারে এবং ভোট গণনায় সময় লাগবে। তাই ব্যালটে একটিমাত্র প্রশ্নে একাধিক উপবিষয় অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাও চলছে।

 

সূত্র মতে, সম্ভাব্য প্রশ্ন হতে পারে— ‘আপনি কি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে বর্ণিত উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সমর্থন করেন?’

 

বিএনপি এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে জামায়াত জানিয়েছে, তারা প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পর মতামত দেবে। তাদের অবস্থান—গণভোট একটিমাত্র প্রশ্নে হওয়া উচিত।

 

সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরাও মনে করছেন, একাধিক প্রশ্নে ভোট আয়োজন জটিলতা বাড়াতে পারে।

 

সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আজকের বৈঠকে আলোচ্যসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই সনদের বিষয়টি না থাকলেও অনির্ধারিত আলোচনায় এটি স্থান পেতে পারে। এর আগেও পরপর তিনটি বৈঠকে এভাবে আলোচনা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোতে বিএনপি ও জামায়াতের ভিন্নমত আছে।

 

জামায়াত ও এনসিপি বলছে, এই আদেশ জারি করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই, কোনো দলীয় মনোনীত রাষ্ট্রপতিকে নয়। অন্যদিকে বিএনপি মনে করে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বা সরকার সরাসরি এমন আদেশ জারি করতে পারেন না।

 

এদিকে বুধবার জামায়াতসহ আটটি ইসলামি দল হুঁশিয়ার করেছে—নির্বাচনের আগে গণভোটের আদেশ না জারি হলে ১৬ নভেম্বর থেকে যমুনার সামনে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নোট অব ডিসেন্ট ছাড়া গণভোট আয়োজন কমিশনে আলোচিত হয়নি। তবে নির্বাচন ও গণভোট এক দিনে হলে জনগণের মতামত স্পষ্টভাবে জানা যাবে।”

 

এই বিভাগের আরো খবর