মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ১০ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২০১

আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে উন্নত জাতের উৎপাদন বাড়াতে হবে-কৃষিমন্ত্রী

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৩  

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ২০২৩) বিকাল ৪ টায় উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই এর উদ্যোগে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ”আম উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণ” বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেন কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত জাত ও প্রযুক্তির সহায়তায় দেশ আজ খাদ্যে স¦য়ংসম্পূর্ণ। আমাদের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে উন্নত জাতের আম উদ্ভাবন করছে। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত¡ গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্ভাবিত বারি আম-৪ ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বারি ১১ ও বারি আম-১২ নিয়েও কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আম ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উদ্যোক্তাদের পাশে আছে সরকার। স্বল্প সুদে আম চাষীদের ঋণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আম রপ্তানি বৃদ্ধিতে উন্নত জাতের উৎপাদন বাড়াতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়নের কারণে জনগণ আওয়ামী লীগের সাথে আছে। আন্দোলন করে বিএনপি সফল হবেনা। ২০১৪ সালে বিএনপি অবরোধ করে ট্রেন লাইন তুলে ফেলেছে। ২০১৫ সালে তিন শতাধিক মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। ক্ষমতায় থাকা কালে বিএনপি চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবীতে রাস্তায় নামা মানুষের উপর গুলি চালিয়ে ২০টি জনকে হত্যা করেছে। তাই বাংলার মানুষ আর বিএনপিকে চায় না। কৃষি সচিব বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের আদিস্থান। এখানে অনেক ভালো ভালো কৃষক আছেন। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। সরকারের কৃষি বিভাগ সবসময়ই কৃষকদের পাশে রয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে কৃষকরা লাভবান হোক- সেটিই সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ছড়িয়ে দিতে বিএআরআই কাজ করে চলেছে। বারি উদ্ভাবিত সুমিষ্ট নাবী জাত বারি আম-৪, বারি আম-১২ ইতোমধ্যেই কৃষক পর্যায়ে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। এছাড়া অমৌসুমী ও বছরে ৩ বার ফলদানকারী বারি আম-১১ সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। বারি উদ্ভাবিত ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা নিরাপদ ও রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন করতে পারছে। কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মোখলেসুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই কেন্দ্রের উদ্যোগে এতদাঞ্চলে দীর্ঘকালের অভিযোজিত ৪টি জাত জিআই পণ্য ঘোষিত হয়েছে। জিআই স্বীকৃতির সুবিধা নিয়ে বিপণন ও রপ্তানির প্রসার ঘটাতে হলে নিরাপদ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। অতিঘনসহ আধুনিক পদ্ধতিতে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ আম উৎপাদনে অত্র কেন্দ্র প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও বালাই দমন বিষয়ক গবেষণা চলমান। কৃষি সচিব জনাব ওয়াহিদা আক্তার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বিএআরআই মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, ব্রি মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহাজাহান কবীর, ডিএই মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ও স্থানীয় আ্ধসঢ়;ওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী নাচোল উপজেলার কেন্দুয়ায় বিভিন্ন আমের বাগান পরিদর্শন করেন এবং বারি উদ্ভাবিত বারি আম-৪, বারি আম-১১, বারি আম-১২, বারি আম-১৩ জাতের বাগান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সেখানে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর শিবগঞ্জের সোনামসজিদে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আম সংরক্ষণের কোল্ড স্টোরেজ এবং একই উপজেলার ছত্রাজিতপুর সবজি উৎপাদনের পলিনেট হাউস পরিদর্শন করেন এবং বারি আয়োজিত পলিনেট হাউসে বারি জাতের সবজি উৎপাদন বিষয়ক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার সময় দেশে সবজির উৎপাদন ৩০ লক্ষ টন আজ বৃদ্ধি পেয়ে ২ কোটি ২০ লক্ষ টন হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী উচ্ছাস প্রকাশ করেন।

এই বিভাগের আরো খবর