সোমবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ২০ ১৪৩২   ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬৫

হাসপাতালে এটিএম শামসুজ্জামান

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯  

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। শুক্রবার রাতে এই অভিনেতাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অস্ত্রোপচার চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক আলহাজ্ব সালেহ জামান সেলিম। 

তিনি জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে অস্বস্তিবোধ করায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ শনিবার সকালে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তার মলত্যাগে জটিলতা দেখা দিলে আজ দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছেন ৮৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা। তিনি আজগর আলী হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে আছেন।

উল্লেখ্য, এটিএম শামসুজ্জামানের ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়। এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবন শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ ছবির জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন।

কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ১৯৬৫ সালের দিকে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন এটিএম শামসুজ্জামান। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’তে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ছবির পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটকে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।

এই বিভাগের আরো খবর