রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৪ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৪

দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত: যশোরে তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি

ইমাম হোসেন

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫  

পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে সারা দেশে জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ, আর হিমালয় থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাস জনজীবনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার ও সোমবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ দেশে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

শনিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও বিস্তৃত হতে পারে।

বর্তমানে রাজশাহী, রংপুর ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশার কারণে তার তেজ বেশিক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে না, ফলে দুপুরের পর থেকেই শীতের অনুভূতি তীব্র হচ্ছে।

 

যশোরে  তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। শহরের লালদীঘি পাড়ে কাজ পেতে জমা হওয়া শ্রমিকের সংখ্যা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। পাশাপাশি শীতজনিত রোগ—জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। রাজশাহীতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত।  রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক সপ্তাহ ধরে চলা কুয়াশার কারণে কর্মজীবীরা বাইরে বের হতে পারছেন না। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশা কমলে শৈত্যপ্রবাহের দাপট আরও বাড়বে।

 

ঘন কুয়াশার কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে ।দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শনিবার সকালে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। চাঁদপুর, ভোলা ও বরিশাল রুটে চলাচলকারী লঞ্চসহ কয়েকশ নৌযান কুয়াশার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখতে হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে ঘন কুয়াশায় নৌযানগুলোকে তীরের কাছাকাছি নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজ চলাচলেও সাময়িক বিলম্বের ঘটনা ঘটছে।

 

 

আবহাওয়াবিদদের মতে, ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শীতল বায়ু প্রবেশ করায় এবং কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়ায় সূর্যের তাপ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে ভূ-পৃষ্ঠে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বেশি। জানুয়ারির শুরুতে শীতের প্রকোপ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর