মঙ্গলবার   ১১ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৬ ১৪৩২   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩১৭

ঐতিহাসিক চকবাজারের জমজমাট ইফতার বাজার। 

মুহাম্মদ বশির আহমাদ

প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৩  

সিয়াম সাধনার মাস রমজান। সারাদিন রোজা শেষে সবাই চান ভালো কিছু খেতে। তবে এ সময় ভালো খাবারের নামে মুখরোচক খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতাই দেখা যায়। এ ধরনের খাবারের বিখ্যাত জায়গা হলো চকের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার।

ইফতার পণ্য নিতে এখানে ছুটে আসেন রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। বেচাকেনা হয় খোলা আকাশের নিচে। অসংখ্য ক্রেতাসমাবেশ হওয়ায় এদিন এ বাজারে হাঁটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।

দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, মুঠি জালি কাবাব, নারগিস চাপ, টিকা কাবাব, শাহী জিলাপি ও বোম্বে জিলাপি, ডিম চপ, রোস্ট, দই, বড়া, হালিম, নুরানি লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং, পরোটা, ছোলা, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ঝাল বোট, ফালুদা, তরমুজ, পেঁপে, বাঙ্গি, কলা, আনারসসহ নানা ধরনের খাবার।

৩০ বছর ধরে চকবাজারে রোজার মাসের অস্থায়ী ইফতার বাজারে গরু-খাসির সুতি কাবাব বিক্রি করছেন সিরাজ বাবুর্চি। তিনি জানান, বেচে কেনা আগের মত থাকলেও দাম বেড়েছে এবার। ১২০০ টাকা কেজি গরুর ও ১৬০০ টাকায় খাসির সুতি কাবাব বিক্রি করছেন তিনি।

চকবাজারের শত শত মানুষের উপস্থিতি বলে দিচ্ছে পুরান ঢাকার মানুষ কতটা ভোজন রসিক। পুরো রমজান মাস এই চিত্র অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতারা বলছেন ঐতিহাসিক দিক দিয়ে নয় চকবাজারের এই ইফতার সামগ্রীর গুণগত মান ঠিক রাখা প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরো খবর