একজন সাহসী হাসিনার গল্প
লীনা পারভীন
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৮

লেখাটা কোথা থেকে শুরু করবো? পিতার ইতিহাস নাকি একজন মায়ের গল্প কিংবা একজন সাহসী নারী রেনুর গল্প নাকি একজন হাসিনাকে নিয়েই লিখবো? তাহলে কেন রেহানাকে নিয়ে নয়? যদি হাসিনাকে নিয়েই লিখি, তাহলে কোন হাসিনা? একজন রাষ্ট্রপতির বড় কন্যা হাসিনা নাকি রেহানার প্রাণপ্রদ্বীপ বোন হাসিনা? নাকি পিতামাতাহীন অসহায় দিশাহারা দুই বোনের গল্প। যারা ভেঙে পড়েও উঠে দাঁড়ান। যারা দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ফিরে এসেছিলেন।
একজন কন্যা হাসিনা, একজন বোন হাসিনা, একজন জননেত্রী হাসিনা, একজন সাধারণ নারী হাসিনা— যার জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাতে চান টুঙ্গিপাড়ায় নিজের গ্রামে। একজন মানুষের জীবন এত বিস্তৃত, এত সংগ্রামের, এত প্রতিজ্ঞার, এত ত্যাগের আর এত দায়িত্বের—বিষয়টি হয়তো কখনোই এমনভাবে অনুভূত হতো না, যদি না সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ডকু ড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ দেখার সুযোগ না পেতাম।
একজন শেখ মুজিবের নাম বেঁচে আছে এই বাংলাদেশের জনক হিসেবে। কিন্তু আমরা সেই অকৃতজ্ঞ জাতি, যারা স্বাধীনতার কিছু বছর পরেই হত্যা করেছি আমাদের সেই জনককে। অনুশোচনার বিষয় হচ্ছে সেই হত্যাকে জায়েজ করা হয়েছিল ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে। হত্যার বিচার বন্ধ করা হয়েছিল আইন করে। পিতা হত্যার বিচার চাইতে পারেনি দুই কন্যা। এমনকি শেখ মুজিবের কন্যা হওয়ার অপরাধে দেশে ফেরার অনুমতি পায়নি। বিদেশের মাটিতে দু’জন অসহায় মানুষ সেইদিন রাতেও যারা ছিল সবার চোখের মণি, দেশে-বিদেশে যাদের ছিল সম্মানের স্থান। নিমিষেই একই রাতের মধ্যে তারা হয়ে গেলেন আশ্রয়হীন, সহায় সম্বলহীন। অপরিচিত দেশে কেউ যখন তাঁদের দায়িত্ব নিতে চাইছিলেন না, তখন কেমন ছিল লড়াইটা? এমনই সব গল্প উঠে এসেছে এ ডকু ড্রামায়।
শেখ মুজিব হত্যা, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার বেঁচে যাওয়ার তথ্যটি এদেশের মানুষের জানা থাকলেও কেমন করে দীর্ঘ জীবন সংগ্রামে তারা বেঁচে ছিলেন, কতটা অবহেলায়, কতটা অসহায়ভাবে—সে গল্পটি ছিল সবসময় অন্ধকারে। তারাও জানাতে চাননি আর আমরাও জানতে চাইনি কোনোদিন। ৭১ সালে ভারতে আশ্রিত ছিল প্রায় এক কোটির ওপরে বাংলাদেশি। ৭ কোটির মধ্যে ১ কোটির আশ্রয়স্থল ভারতে কোনোদিন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যিনি বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তার দুই কন্যাকেও আশ্রিত হিসেবে ভারতে থাকা লাগবে, এটি কেউ কি কখনও কল্পনাতেও ভাবতে পেরেছে? ইন্দিরা গান্ধী যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধান আশ্রয়দাতা ও সহায়তাকারী দেশের রাষ্ট্রনেতা ছিলেন, তিনিও কী ভেবেছিলেন কখনও?
ইতিহাসে পাতায় পাতায় কতকিছু অজানা থাকে আমাদের। আমাদের প্রজন্ম কতটাইবা জেনেছে সেই ইতিহাসকে? শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দিল্লিতে থাকতে হয়েছিল নাম পরিবর্তন করে। এই যন্ত্রণা বোঝার মতো ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। কোনোদিন হবেও না।
একটি জাতির পিতার পরিবারে টিকে থাকা দুই সন্তান একসময় নিজ পরিচয় গোপন করে থাকতে হয়ে অন্য একটি দেশে! কী নিষ্ঠুর সেই ইতিহাস!
আমরা যারা খুব সহজেই আজকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিয়ে সমালোচনা করে ফেলি তারা কী কখনও নিজেকে সেই দুই জনের জায়গায় বসাতে পারবো? ভাবতে পারবো—কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পিতা-মাতা, ভাই-বোন হারিয়ে ফেলা দু’জন মানুষ, যারা এখনও বেঁচে আছেন। তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এই দেশকে রক্ষায়, এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কতটা সাহসী হলে সম্ভব এই কাজটি করার মতো নিজেকে প্রস্তুত রাখা?
তাদের দুজনের কেউই কিন্তু দলীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন না। শেখ হাসিনা ছাত্র রাজনীতি করলেও পরবর্তী জীবনে তিনি একজন গৃহিনী হিসাবেই ছিলেন। দুই সন্তানের জননী শেখ হাসিনা চাইলেই পারতেন এই দেশকে ঘৃণা করতে, এই দেশ তাদেরকে যা দিয়েছে, কেড়ে নিয়েছে সবকিছু। এমনকি তার পরিচয়টুকুও কেড়ে নিয়েছিল।
যেই শেখ হাসিনা তার পরিবারে পরিচিত ছিলেন একজন অলস মানুষ হিসাবে, তার রুমকে ডাকা হতো আলসে খানা নামে, সেই হাসিনা এখন দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেন কেবল দেশের কাজে। ব্যক্তিগত বলে এখন তার আর কিছুই নেই। আরাম-আয়েশ, সুখের জীবনকে ত্যাগ করে তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন নিজের দলকে বাঁচানোর দায়িত্ব। যার মাধ্যমে আজ তিনি এই বাংলাদেশের একমাত্র ত্রাণকর্তাও বটে। একজন শেখ মুজিবের শূন্যস্থান যেন তিনি পূরণ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। বঙ্গবন্ধু যেমন নিপীড়িত, দুঃখী মানুষের আশ্রয়স্থল ছিলেন, শেখ হাসিনাও আজ সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন।
কতটা ত্যাগ, সংগ্রাম, লড়াই, পরিশ্রম করে একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শেখ হাসিনা, সেই গল্প প্রতিটি মানুষের জন্যই শিক্ষণীয়। যাদের উদ্যোগে এই ডকুড্রামা নির্মাণ হয়েছে তারা সত্যিকার অর্থে একটি ঐতিহাসিক কাজ করে ফেলেছেন। বর্তমান প্রজন্ম এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হাসিনা ‘অ্যা ডটারস টেল’ হয়ে থাকবে ইতিহাসের একটি দলিল হিসেবে।
এই ডকু ড্রামার পরিচালককে ব্যক্তিগতভাবে আমি ধন্যবাদ দিতে চাইবো। কারণ এই প্রজন্মের একজন হয়ে তিনি যে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন, সেটিও প্রশংসার। তিনি যে প্রজন্মের ধারক, আমিও সেই প্রজন্মেরই একজন। আমরা বেড়ে উঠেছি বিকৃত ইতিহাসে হাত ধরে। শৈশব-কৈশোরে পরিবারের কখনও শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ভালো কিছু শুনিনি বা পড়িনি। একজন শেখ হাসিনাকে তাই ধারণ করাটাও অত সহজ হওয়ার কথা নয়। ছবিটি দেখলেই বোঝা যায়, পরিচালক কেবল একজন শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাকে নিয়ে নয় বা আওয়ামী লীগের হয়ে কাজটি করেননি। তিনি ধারণ করার চেষ্টা করেছেন একজন যোগ্য কন্যাকে, তিনি অনুভব করেছেন একজন শেখ হাসিনা কতটা বেদনার মাঝ দিয়ে নিজেকে টেনে চলেছেন। একজন শেখ হাসিনা কেমন করে হয়ে উঠেছেন একজন রেহানার আশ্রয়স্থল থেকে সবার আশ্রয়স্থল। এগুলো দেখাতে হলে বিশ্বাস প্রয়োজন।
সঠিক বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে, ঐক্যবদ্ধ বাঙালিকে খুঁজে পেতে, সঠিক ইতিহাসকে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে এমন কাজ আরও বেশি হওয়ার প্রয়োজন আছে। যতটা পিছিয়ে দিয়েছিল ঘাতকেরা আমাদের প্রজন্মের হাত ধরে, ঠিক তার চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাবো আমরা। একজন শেখ হাসিনাকে যেন আমরা নিজের মতো করে ধারণ করতে পারি, তার কষ্টকে নিজের মধ্যে নিয়ে বুঝতে শিখতে পারি, তিনি কেন জীবনের বিনিময়ে টেনে নিয়ে চলেছেন এই ভাঙাচোরা দেশটিকে। যুগে যুগে শেখ হাসিনার মতো মানুষ জন্ম নিক, তবেই দায়মুক্ত হবে এই দেশ এই মাটি।
লেখক: সাবেক ছাত্রনেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- নতুন ট্রাফিক সিগন্যালেও ত্রুটি, ভরসা সেই ‘হাতের ইশারা’
- জাতীয় নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
- থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন আনুতিন চার্নভিরাকুল
- বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দিলেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস
- ডাকসু নির্বাচনে অন্য কোনো প্যানেলের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না ছাত্রদল
- ফরিদপুরে অবরোধে ফের ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যান চলাচল বন্ধ
- জনগণের কাছে ক্ষমা চান: জামায়াতকে ফারুক
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য পোশাক পাঠালো বিজিএমইএ
- যুদ্ধ থামাতে গাজায় ‘নিরপেক্ষ প্রশাসন’ গঠনের প্রস্তাব ফিলিস্তিনি
- হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির পদক্ষেপ নিতে দুদকের চিঠি
- মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্তরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না
- ডাকসু ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক কাঠামোয়, এখন অনেকটা কর্তৃপক্ষনির্ভর
- শেখ হাসিনা কিছু খুদে স্বৈরাচার রেখে গেছেন: আমীর খসরু
- ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাইবার অপরাধে ছাড় নেই: রিটার্নিং অফিস
- অর্থনীতিতে গতি আনতে শতাধিক পণ্যে কর কমানোর ঘোষণা ভারতের
- তীব্র বোমাবর্ষণে গাজায় নিহত আরও ৭৩, নিশ্চিহ্ন পুরো পরিবার
- নির্বাচনী প্রচার-ভোটের দিন ড্রোন ব্যবহার নয়, এআই ব্যবহারে কড়াকড়ি
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের রায় আপিলেও বহাল
- দুমকিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়াতে ইনবক্সে মেসেজ, গুলশান পুলিশের নম্বর দিলেন প
- ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
- ফের ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভারতের মাটিতে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপও খেলবে না পাকিস্তান
- জিনপিংয়ের ‘অ্যান্টি-আমেরিকা পার্টি’র ভবিষ্যৎ কী?
- মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- পাকিস্তান কেন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী?
- নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ, স্পষ্ট করলো ইসি
- ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি আজ
- নির্বাচনের পর কোনো শিবিরের বাচ্চাকে রাজনীতি করতে দেবো না
- বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
- প্রধান উপদেষ্টাকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে বেলজিয়াম
- কাকরাইলে সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে যা জানাল সেনাবাহিনী
- মধ্যনগরে ওয়ার্ড বিএনপির পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ
- পিরোজপুর-২ ধানের শীষ প্রার্থী আহম্মদ সোহেলের ঢাকায় মতবিনিময় সভা
- বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বিকেলে
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের রায় আপিলেও বহাল
- বিআইডব্লিউটিএ টেন্ডারে অনিয়ম, পছন্দের প্রতিষ্ঠানে স্থগিতাদেশ
- জ্বরের পর কাশি কমাতে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়
- জিয়া পরিবারের ত্যাগেই দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা
- সাত বছর পর চীনে মোদি
- স্নায়ুচাপে ভুগছে বিএনপি
- আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন মধুমিতা
- মনিরুল সিন্ডিকেটের হিসাবে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ!
- শুভশ্রীর সম্মানহানি হোক চাই না, ‘দুই বাচ্চার মা’ প্রসঙ্গে দেব
- আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য পোশাক পাঠালো বিজিএমইএ
- দুমকিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- সম্মাননা পেলেন ফটো সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম
- ‘উনিই আমার পায়ে ৪ আগস্ট গুলি করেছে, উনাকে আমি ছাড়ব না’
- যে কারণে মেয়েরা বিয়ের আগে মিলনের জন্য রাজি হয়
- দ্রুত গর্ভবতী হতে চাইলে যে উপায়গুলো অনুসরন করবেন
- ফার্মেসীতে বিক্রি হওয়া কিছু ওষুধে মিলছে ইয়াবার উপদান
- শিশুদের হাতে বিপদজনক এই গ্লো-স্টিক ললিপপ
- সুইমিং পুলে রোমান্টিক সহবাস!
- ঘুমের মধ্যে মেয়েদের লালা ঝরে?
- কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধের ঘরোয়া উপায়
- যৌন মিলনে ওযুধ খেলে যা হবে!
- মহিলাদের যৌন সুখ বাড়াবে ‘ফোরিয়া’
- ইতিহাসের বর্বরতম নগরী পম্পেই
- অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদী মারা গেছেন
- লেবুর রসেই দূর হবে কিডনির পাথর
- কম সময়ে ওজন কমাতে যেভাবে রসুন খাবেন
- পাঁচ পরিস্থিতিতে যৌনতা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল!
- বিছানায় রক্তের দাগ না পেলে নববধূকে জুতাপেটা!