সোমবার   ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩০ ১৪৩২   ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭

অপ্রথাগত বাজারে নতুন দিগন্ত: পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে বাংলাদেশ

মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত প্রথাগত বাজারের পাশাপাশি অপ্রথাগত বাজারেও শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট (২০২৫-২৬ অর্থবছর) দুই মাসে এসব নতুন বাজারে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা মোট রপ্তানির ১৬.১১ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৪৪ শতাংশ।

 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ১৫.৬১ শতাংশ, ভারতে ১৮.৬৭ শতাংশ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ, যা খাতটির জন্য উদ্বেগজনক সংকেত।

 

অন্যদিকে প্রথাগত বাজারেও ইতিবাচক ধারা বজায় রয়েছে। মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৭.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৬৩ শতাংশ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এককভাবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ৩.৪১ বিলিয়ন ডলার আয়ে (৪৭.৮২ শতাংশ)। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার (২০.৩০ শতাংশ), যুক্তরাজ্যে ৮৮২.৬২ মিলিয়ন ডলার (১২.৩৮ শতাংশ) এবং কানাডায় ২৪১.৮০ মিলিয়ন ডলার (৩.৩৯ শতাংশ)।

 

দেশভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্য সবার শীর্ষে রয়েছে ১৫.৫১ শতাংশ নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৩৩ শতাংশ, কানাডায় ১৩.৬৯ শতাংশ। তবে জার্মানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৫৩ শতাংশ, সুইডেনে ৬.৭১ শতাংশ এবং ডেনমার্কে ৮.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও স্পেনে প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে পৌঁছেছে।

 

নোমান গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা সিফাত হোসেন ফাহিম দৈনিক তরুণ কণ্ঠকে বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন শুধু প্রথাগত বাজারের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমেরিকা নিয়ে আগে শঙ্কা থাকলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। সামনে যুক্তরাষ্ট্র শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে, একইসঙ্গে অপ্রথাগত বাজারেও রপ্তানি বাড়তে থাকবে।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, “এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের নীতিগত সহায়তা জরুরি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতের সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

 

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। বিশেষ করে অপ্রথাগত বাজারের অগ্রগতি ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে।

এই বিভাগের আরো খবর