শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৯

১৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

আর্তমানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইনডোর ও আউটডোর মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চোখের অপারেশন হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি রোগীর। বায়তুশ শরফ একটি অসাম্প্রদায়িক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চক্ষু রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন অর্ধ ডজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রয়েছে দক্ষ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও পরিচালনা। 

কথায় নয়, কাজেই প্রমাণ কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল। এখানে রয়েছে স্বল্প খরচে চোখের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ অপারেশন ব্যবস্থা। নামমাত্র মূলে রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা, ক্ষেত্র বিশেষে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসাও দেয়া হয় এখানে। এ কারণে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের সুনাম-সুখ্যাতি কক্সবাজার ছাড়িয়ে খ্যাতি পেয়েছে চট্টগ্রামের বাইরেও। পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা কুতুব উদ্দিন (মুঃ আলীর) তথ্যাবধানে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিচালা করছেন সর্বজন প্রিয় আলহাজ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সুদক্ষ পরিচালক মন্ডলী। 

কৃতজ্ঞতা সুরে মকবুল আহমদ জানান, ১০ বছর ধরে তিনি চোখ নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। দুই চোখে কিছুই দেখেন না। হাঁটাচলা করতে অন্যের সাহায্য নিতে হত। এই হাসপাতালে ডান চোখের অপারেশন করা হয়।এরপর বাম চোখের সফল অপারেশন করা হয়। ‘আপারেশনের পর থেকে উভয় চোখে সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পান তিনি। চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ।’

রওশান আলী নামের আরেক রোগী জানান, দুই বছর ধরে তিনি দু’চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পান না। রওশন আলীর বাড়ি পার্বত্য জেলার বান্দরবানে। এখানে চোখ অপারেশন করার পর চোখ এখন পুরোপুরি ভালো। 

একইভাবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে চোখের চিকিৎসা করতে আসা শামসুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ২ বছর যাবত চোখ নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। বাম চোখের অপারেশন হওয়ার পর তিনি স্বস্তি অনুভব করছেন। হাসপাতালের সেবার মান ও চিকিৎসকদের যত্নশীল মনোভাবের কারণে তিনি সন্তুষ্ট। 

উল্লেখ্য, বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক আলহাজ সিরাজুল ইসলাম জানান, পীর মুরশির্দী সিলসিলার এই বায়তুম শরফ কমপ্লেক্স অরাজনৈতিক, আসম্প্রদায়িক ও সম্পূর্ণ সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। এর অধীনে রয়েছে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল, মসজিদ, এতিম খানা, হেফজ খানা, জাব্বারিয়া একাডেমি হাই স্কুল ও প্রতিবন্দ্বীদের বিশেষায়িত সেবা কার্যক্রম। ৫০ শয্যার চক্ষু হাসপাতালের যাত্রা হয় ১৯৯২ সালে। চক্ষু অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৭ সাল থেকে। বায়তুশ শরফের মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা কুতুব উদ্দিন (হুজুর) প্রতিষ্ঠানটির মূল অভিভাবক।

এই বিভাগের আরো খবর