শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭০৭

বুড়িচংয়ে নৌকা প্রতীকে আ.লীগের প্রার্থী আখলাক হায়দার মনোনিত!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ঘনিয়ে এসেছে উপজেলা পরিষদ  নির্বাচের দিন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে চলতি মাসেই ঘোষণা হতে পারে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষনা।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনপ্রিয়তা ও তৃণমুল আওয়ামীলীগের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে সাবেক ইউ পি চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার কে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিচ্ছে কেন্দ্রীয় কমিটি!!

এমন আলোচনা জোড়ালো ভাবেই শোনা যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বিশ্বস্ত একটি সুত্রে এমন আভাষ পাওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে বলেও মতামত  জানান অনেক নেতাকর্মী।  

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আখলাক হায়দার চেয়ারম্যান এর নাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত করে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন আগে প্রেরন করেন। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার এর সুযোগ্য বড় সন্তান। কুমিল্লার জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ তারেক হায়দার এবং ৬নং মায়নামতি ইউনিয় পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত (বর্তমান) শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান মোঃ লালন হায়দারের বড় ভাই।

৭১ এর বীর সেনা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর সহচর হিসেবে মরহুম আবুল বাশার চেয়ারম্যান ছিলেন জাতির জনকের বিশ্বস্ত সৈনিক। তিনি তদানিন্তন ত্রিপুরা জেলা এবং পূর্বের ব্রাহ্মণবাড়িয়া চাঁদপুর নিয়ে গঠিত কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।  ষাটের দশকের নেতা বাশার চেয়ারম্যান    যুদ্ধপূর্ব সময়ে তৎকালীন আওয়ামীলীগের সহ-সাধারন সম্পাদক, পরবর্তীতে সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে হাতি মারা, কমলনগর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মরহুম আবুল বাশার চেয়ারম্যান।
এছাড়াও বৃহত্তর বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আবুল বাশার ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সবচাইতে আস্থাভাজন এবং একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। ষাটের দশকে কুমিল্লার মুরাদনগরে বয়ে যাওয়া ভয়ংকর টর্নেডো পরিদর্শনে এসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতা কর্মী সঙ্গে নিয়ে ময়নামতির সিন্দুরিয়া পাড়ার এই আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহন করেন এবং তার বাড়িতেই এক রাত্র যাপন করেন।

বিভিন্ন পুস্তক থেকে পাওয়া তথ্য মতে ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কুমিল্লা জেলায় আওয়ামীলীগের জাতীয় কোন কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে যে নামটি প্রথম উচ্চারণ করতেন তিনি মরহুম আবুল বাশার চেয়ারম্যান। কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের প্রাণ পুরুষদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।

উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের তৎকালীন  জননন্দিত নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল বাশার চেয়ারম্যানের বড় ছেলে পিতার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ ও সমাজসেবায় যোগদান করেন ছাত্রজীবনে। ৬নং ময়নামতি ইউপি'তে বিপুল ভোটে দুই বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো.আখলাক হায়দার ।
তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্বের কমিটির সহ-সভাপতি, বতর্মান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সমাজসেবামুলক কাজের মাধ্যমে এলাকায় বিশাল জনপ্রিয়তা এবং  তৃণমুল নেতাকর্মীদের সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে দলীয় কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। বিগত দিনের মত নিজের সততা ও আদর্শের সুনাম রয়েছে তার।

এছাড়া তিনি ময়নামতি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি, বাংলাদেশ স্বাধীন চেতনা সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে গঠনমূলক কাজে তিনি অঙ্গাঅঙ্গী ভাবে জড়িত।
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী  উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র, দক্ষ ও পরিচ্ছন্ন নেতা হিসেবে পরিচিত আখলাক হায়দার এক বিবৃত্তিতে বলেন,  
 " উপজেলা বাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি এলাকার রাস্তাঘাট সহ সকল প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন বাস্তবায়নে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করবো । বুড়িচং এর প্রতিটি গ্রামের মানুষের শহরের সেবা নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ। বুড়িচং উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে সকল কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব কাজগুলো বাস্তবায়ন করবো।
এই উপজেলাকে মাদক ও দূর্নীতি মুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবো। এছাড়াও উপজেলা উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে সকল পরিকল্পনা রয়েছে দলমত নির্বিশেষে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহন করা হবে।"

বুড়িচং উপজেলা আওয়মীলীগের একাধিক সিনিয়র নেতাদের কাছে মনোনয়ের বিষয়টি চুরান্ত কিনা কিংবা নিশ্চিত কোন তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্ধশতাধিক নেতারা বলেন, এটা অনেকটা নিশ্চিতই বলা যায়। দলীয় চুরান্ত  সিদ্ধান্ত ঘোষণার অপেক্ষা মাত্র। বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড বিবেচনা, দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মতমতের ভিত্তিতে এবং সর্বোপরি জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার বিচারে আখলাক হায়দারই আওয়ামীলীগের যোগ্য প্রার্থী।

এই বিভাগের আরো খবর