বিয়ের পিঁড়িতে ক্রিকেটার শান্ত

করোনা মহামারির মধ্যেই যেন বিয়ের হিড়িক পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে। কয়েক দিন আগে বিয়ে করেন দুই ক্রিকেটার আবু জায়েদ রাহি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।  দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সাবরিন সুলতানা রত্নার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন শান্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের খবর নিজেই জানালেন এই উদীয়মান তারকা।

গতকাল মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নববধূর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন শান্ত। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তুমি আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছ এবং আমি কোনোদিন আমার জীবনে অন্য কাউকে ভাবিনি। তুমিই আমার নারী, যে আমার জীবন আরো সুন্দর করে তুলেছে। প্রিয়, আমি তোমাকে ভালোবাসি।'

শান্তর স্ত্রী সাবরিন সুলতানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রাজশাহীতেই তাঁর বাড়ি। রাজশাহীর কোরিয়ান সুগার মিল এলাকায় বেড়ে উঠেছেন সাবরিন।

এর আগে গত শুক্রবার নিজ বাড়ি ময়মনসিংহে কাছের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের কাজ সেরেছেন জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ময়মনসিংহের মেয়ে উম্মে তামান্নার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। সরকারি কবি নজরুল কলেজে পড়ছেন তাঁর স্ত্রী। করোনার কারণে খুব একটা আয়োজন করে বিয়ে হয়নি তাঁদের। দুই পরিবারের কাছের মানুষদের নিয়েই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের খবর নিজেই জানিয়েছেন সৈকত। স্ত্রীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, 'জীবনের নতুন জার্নি শুরু করলাম। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।'

জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের দ্বিতীয় বিয়ে এটি। এর আগে ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য থাকাকালীন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। কিন্তু দুই পরিবারের টানাপোড়েনে সেই সম্পর্ক টেকেনি। সেই সময় সৈকতের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলাও হয়েছিল। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের অনেক দিন পর আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জাতীয় দলের তরুণ পেস বোলার আবু জায়েদ রাহিও। গত বুধবার সিলেটের মেয়ে ডা. তৌহিদা আক্তার জুহার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।