শনিবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২৯ ১৪৩২   ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১

হাদির ওপর হামলার চরিত্র ভিন্ন: নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫  

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতিবিদদের ওপর হামলার ঘটনায়, বিশেষ করে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাদির ওপর হামলার ধরণ ভিন্ন হওয়ায় এই উদ্বেগ আরও জোরালো হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, অতীতের নির্বাচনগুলোতে সংঘর্ষ বা হামলা দেখা গেলেও, এইবারের কিছু ঘটনায় ব্যক্তিগত আক্রোশ ও সুদূরপ্রসারী ভীতির উপাদান রয়েছে, যা সুস্থ নির্বাচনী পরিবেশের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।

 

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হাদির ওপর সংগঠিত হামলাটি কেবল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রকাশ নয়।

 

 এই হামলাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা না হয়ে বরং সুসংগঠিতভাবে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে পেশাদার দুর্বৃত্তদের দিয়ে ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলার লক্ষ্য ছিল কেবল ব্যক্তি আঘাত করা নয়, বরং নির্বাচনের প্রচারণায় থাকা অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, যাতে তারা মাঠে সক্রিয় হতে ভয় পান।

 এমন হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সময়মতো হস্তক্ষেপ না করা বা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও উঠছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে।

 

 

বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মনে করছেন, এমন ভিন্ন ধরণের হামলাগুলো যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে তা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

"নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবেই। কিন্তু যখন হামলাগুলো ব্যক্তিগতভাবে আঘাত করার এবং ভয় দেখানোর দিকে মোড় নেয়, তখন বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।"—নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।

 

 

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর সহযোগিতা ছাড়া কেবল নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন।

রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং সব প্রার্থীর জন্য সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন।

আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে হলে, রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সব ধরণের হামলার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া এখন সময়ের দাবি।

এই বিভাগের আরো খবর