শনিবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২৯ ১৪৩২   ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৪

বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার কোচিং ইতিহাস: এক প্রদেশেরই ৫ জন!

মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫  

ফুটবলের পরাশক্তি আর্জেন্টিনা এবং বিশ্বকাপ যেন এক আবেগের নাম। আর এই আবেগকে মাঠে রূপ দিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কোচেরা। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোচিং স্টাফদের একটি চমকপ্রদ তথ্য সম্প্রতি সামনে এসেছে: বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে দায়িত্ব পালন করা সর্বশেষ ছয়জন কোচের মধ্যে পাঁচজনই এসেছেন দেশটির একটি নির্দিষ্ট প্রদেশ থেকে।

 

 

আর্জেন্টিনার কোচিং ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, রাজধানী বুয়েনোস আইরেস এবং এর আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকেই এসেছেন কোচিংয়ের মূল কাণ্ডারিরা। তবে সর্বশেষ ছয়জন কোচের মধ্যে পাঁচজনই এসেছেন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশ থেকে। এটি ফুটবলের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা।

 

 

কোচের নাম বিশ্বকাপ প্রদেশ
মার্সেলো বিয়েলসা ২০০২ সান্তা ফে
হোসে পেকারম্যান ২০০৬ সান্তা ফে
জেরার্ডো মার্তিনো - সান্তা ফে
জর্জ সাম্পাওলি ২০১৮ সান্তা ফে
লিওনেল স্কালোনি ২০২২ সান্তা ফে
অন্যতম ব্যতিক্রম: দিয়েগো ম্যারাডোনা (২০১০, বুয়েনোস আইরেস)    

 

সান্তা ফে প্রদেশটি আর্জেন্টিনা ফুটবলের ইতিহাসে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রদেশ থেকে উঠে এসেছেন অসংখ্য কিংবদন্তি খেলোয়াড় ও কোচ। সান্তা ফে-এর ফুটবল সংস্কৃতি, বিশেষ করে তার ক্লাবগুলো (যেমন নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ, রোজারিও সেন্ট্রাল) তরুণ প্রতিভাদের লালন ও প্রশিক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই অঞ্চলের কোচেরা প্রায়শই শৈল্পিক ফুটবলের পাশাপাশি সাংগঠনিক দিক থেকে শক্তিশালী থাকেন বলে মনে করা হয়। সর্বশেষ কোচ লিওনেল স্কালোনি, যিনি সান্তা ফে-এর মানুষ, ২০২২ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে এই ধারাকে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে গেছেন।

 

একই প্রদেশ থেকে এতজন কোচের উঠে আসা কেবল কাকতালীয় নয়, বরং এটি আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্কৃতিতে সান্তা ফে-এর গভীর প্রভাবের প্রতীক। এই আধিপত্য প্রমাণ করে, ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে দেশটির কৌশল নির্ধারণে এই অঞ্চলের কোচেরাই দীর্ঘকাল ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

এই বিভাগের আরো খবর