রোববার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৪ ১৪৩২   ০৮ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০

জামায়াতের ‘মজবুত সমঝোতা’য় যোগ দিল এলডিপি ও এনসিপি

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫  

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হলো নতুন এক মেরুকরণ। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

 

 

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একটি ‘মজবুত নির্বাচনী সমঝোতা’র লক্ষ্যে দলগুলো এখন থেকে একযোগে কাজ করবে।

 

জামায়াত আমির বলেন:

“এনসিপির সঙ্গে কিছুক্ষণ আগেই আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের এই সমঝোতায় যুক্ত হয়েছে এবং আজ রাতের মধ্যেই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানাবে। এটি আমাদের একটি শক্তিশালী নির্বাচনী ঐক্য।”

 

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারা দেশের ৩০০ আসনেই এই জোটের প্রার্থী বিন্যাস প্রায় চূড়ান্ত। জোটের অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী। এনসিপি: কমপক্ষে ৩০টি আসন নিয়ে এই জোটে অংশ নিচ্ছে।

 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন এই দলটিও এনসিপির কাছাকাছি সংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। উল্লেখ্য, এর আগে তারা ১২০টি আসনের দাবি জানিয়ে জোট ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এলডিপি: কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপিও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আসনে ছাড় পাচ্ছে। জামায়াত আমির আরও জানান, সমঝোতা প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি বিতর্কিত আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

 

জামায়াতের সঙ্গে এই জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে এনসিপির ভেতরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে দলটির দুই শীর্ষ নারী নেত্রী তাসনিম জারা ও তাসনূভা জাবীন পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়া জামায়াতের সঙ্গে জোট করার নীতিগত বিরোধে এনসিপির আরও ৩০ জন কেন্দ্রীয় নেতা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এই বিদ্রোহের মধ্যেই দলটির একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে পথচলার সিদ্ধান্ত নিলো।

 

 

সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, “আমাদের হাতে দেড় মাসেরও কম সময় আছে। আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ভোটের তারিখ নিয়ে যেন কোনো ধরনের হেরফের না হয়, সে বিষয়ে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এলডিপি ও এনসিপির অন্তর্ভুক্তি জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটকে ভোটের মাঠে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের আকর্ষণের ক্ষেত্রে।

এই বিভাগের আরো খবর