শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৬৪৮

গণপূর্ত ও রাজউকের টেন্ডারে সিন্ডিকেট থাকবে না : মন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

মন্ত্রী বলেন, ‘গণপূর্ত অধিদপ্তর ও রাজউকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি টেন্ডার যাতে শতভাগ স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করা হবে। কোনো ধরনের সিন্ডিকেট থাকবে না।’

মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডার বাগিয়ে নেওয়া ‘যুবলীগ নেতা’ জি কে শামীম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মন্ত্রী বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে টেন্ডার নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও রাজউকে সিন্ডিকেট হয়েছে বলে শুনেছি... আগে কে বা কারা টেন্ডার নিয়ে সিন্ডিকেট করতেন এবং কীভাবে তা হতো, সব বিষয়েই তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’

রেজাউল করিম জানান, এরই মধ্যে উন্নয়নমূলক যেসব কাজ হয়েছে, তার টাকার হিসাব চেয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও রাজউকসহ তাঁর মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হবে এবং সংস্থাগুলোর কাজের তথ্যে গরমিল পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী দাবি করেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর স্বচ্ছতার জন্য অনেক টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার দিয়েছেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে গণপূর্ত অধিদপ্তরে আধিপত্য বিস্তার করে পছন্দের ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দিতেন জিয়াউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। আর রাজউকে বাবলু নামের একজনের প্রভাব ছিল। তাঁরা দুজনই তৎকালীন মন্ত্রীর কাছের লোক ছিলেন বলে সবাই জানতেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর নিকেতনের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ এফডিআর ও নগদ অর্থসহ গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা জি কে শামীম গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে তাঁর প্রতিষ্ঠান জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির জন্য বেশিরভাগ কাজ বাগিয়ে নিতেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে।

এ ছাড়া শামীম রাজউক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও রেল ভবনের টেন্ডারে কাজ করতেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠানের অধীনে সচিবালয়ে দুটি ভবন, পিএসসি ভবন, আগারগাঁওয়ে এনজিও ফাউন্ডেশন ও রাজস্ব ভবন, আশকোনায় র‌্যাব সদর দপ্তর, রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স এবং কয়েকটি হাসপাতালের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে, যাতে অন্তত হাজার কোটি টাকা যুক্ত আছে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার স্কুল শিক্ষকের ছেলে শামীম রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির ‘রাজা’ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাবা প্রয়াত আফসার উদ্দিন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শামীম সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ গাড়িবহর নিয়ে চলাচল করতেন। যাতায়াতের সময় রাস্তা ফাঁকা করার জন্য তাঁর দেহরক্ষীরা লাউডস্পিকারে নির্দেশ দিতেন।

এই বিভাগের আরো খবর