শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৭৬

কুমিল্লায় কয়লার ট্রাক উল্টে ১৪ শ্রমিক নিহত

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯  

নিহতরা হলেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সুরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৩০), নূর আলমের ছেলে মোহাম্মদ মোরসালিন (১৮), মো. ফয়জুল করিমের ছেলে মো. কাইয়্যুম (১৮), সুনীল চন্দ্র রায়ের ছেলে তরুন চন্দ্র রায় (২৫), মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. সেলিম (২৮), রাম প্রাসাদের ছেলে বিপ্লব (১৯), কিশোর চন্দ্র রায়ের ছেলে শংকর চন্দ্র রায় (২২), অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপু চন্দ্র রায় (১৯), কামিক্ষা চন্দ্র রায়ের ছেলে অমিত চন্দ্র রায় (২০), খোকা চন্দ্র রায়ের ছেলে মৃণাল চন্দ্র রায় (২১) ও বিকাশ চন্দ্র রায় (২৮), ধলু চন্দ্র রায়ের ছেলে কণক চন্দ্র রায় (৩৫) এবং একই উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের মনোরঞ্জণ চন্দ্র রায়। নিহত সকলে স্থানীয় কাজী অ্যান্ড কোং নামে একটি ইট ভাটার শ্রমিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে এ দুঘর্টনায় আহতরা হলেন, একই উপজেলার আরাজি, শিমুলবাড়ী এলাকার প্রদার চন্দ্র রায়ের ছেলে বিষ্ণু (২৫), নিজপাড়া এলাকার হিজু (২০) ও রিপন আহম্মেদ (২২)। দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে এবং আহতদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এদিকে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ্ আল মাহফুজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ব্রিক ফিল্ডের জন্য আনা একটি ট্রাক থেকে কয়লা আনলোড করার সময় হঠাৎ তা উল্টে গিয়ে ফিল্ডের লেবার শেডের ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর পড়ে। এতে সেখানে চাপা পড়ে ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে।

এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফজল মীর, সদ্য প্রদন্নোতি প্রাপ্ত পুশিল সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবিএম বাহার, চৌদ্দগ্রাম পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, শ্রীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, ঘোলপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহম্মেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হবে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, নিহতদের শ্রমিকদের মধ্যে দুইজন একই পরিবারের, সাতজন একই বাড়ীর, দশজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও তিনজন মুসলিম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ গুলো উদ্ধার শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে

এই বিভাগের আরো খবর