শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৬৪৭

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে জোড়পূর্বক ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের ৩য় কণ্যা জরিনাকে ছন্দনাম(১৫) কে ধর্ষণ করার তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ ধর্ষণের শিকার হওয়া জরিনার বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের তথ্য মতে জানা যায়-অত্র উপজেলাধীন ছাতিয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ধর্ষণের শিকার হওয়া জরিনার (ছদ্দনাম) বাবার পরিসরের একটি মুদি দোকান আছে, তাহার বাবা শিক্ষিত না হওয়ার কারনে দোকানের সমস্ত বকেয়া হিসাবপত্রাদি প্রতিদিন রাতে গিয়ে জরিনা  তাহার বাবা দেলোয়ারের দোকানে গিয়ে ব্যক্তিগত হিসাব বইতে লিপিবদ্ধ করেন।

এরই সূত্রে- গত ২০ জানুয়ারী সন্ধ্যারাতে জরিনা তাহার বাড়ি তথা চৌদ্দগ্রামের ছাতিয়ানী তার বাড়ির পাশে  অবস্থিত বাবা দেলোয়ারের দোকানে গিয়ে বকেয়া হিসাবপত্রাদি খাতায় লিপিবদ্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরবর্তীতে বাড়ির মাঝামাঝিতে আসার পথিমধ্যে রাস্তায় জরিনার পথ আটকিয়ে ছাতিয়ানি গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র ইয়াছিন পন্ডিত(২৮) জোড় পূর্বক পার্শ্ববতী খালের পাশে নিয়ে শরীরের কাপড় ছিড়ে ধর্ষণ করে থাকে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাতিয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জরিনার সাথে কথা বললে সে জানায়- আমার উপর প্রথমে ইয়াছিন পন্ডিত খালের পাড়ে  ও পরবর্তীতে তাহার বড় ভাই মাসুদ পন্ডিত স্থানীয় রফিক মিয়ার পুত্র আলমগীরের ঘরে নিয়ে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমি কান্নাকাটি করতে করতে আমার বাবার বাড়িতে স্থানীয় গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ফিরে আসি। বাড়ি ফেরার পরে আমার বাবা দেলোয়ার ও মা নাসিমা বেগম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।

বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংসিত না হওয়ায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় ধর্ষণের শিকার হওয়া জরিনার (ছদ্দনাম) মা নাসিমা বেগম মামলা দায়ের করেন। মামলা নংঃ ২৪. তারিখঃ ২৪.১.২০১৯ইং। এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ  সাথে কথা বললে তিনি জানান- প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।

অভিযুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশ ও সোর্স প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখছেন।মুন্সিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম জানান কাছে ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলেন এবল ধরনের অমানুসিক নির্যাতন মেনে নেওয়ার মতো নয়। ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।আমার পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষে থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে ভিকটিমের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায়  আছেন বলেন তিনি যানান।একই মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই আরিফ হোসেন বলেন আসামীরা যে হোক নানা কেন তাদের দূত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।কারণ নারীশিশু নির্যাতন কোর্ট ২০০৩ এর দ্বারা মোতাবেক ধর্ষকদের জন্য কঠোর শান্তির বিধান রয়েছে বলে তিনি বলেন।

এই বিভাগের আরো খবর