বুধবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২১ ১৪৩২   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৩

৮৫ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের মুখোমুখি জামায়াতের প্রার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৫  

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপি ইতোমধ্যে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এতে দলের শীর্ষ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের বহু হেভিওয়েট নেতা মনোনয়ন পেয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসনে (ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩) এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া স্থায়ী কমিটির ১৪ সদস্যের মধ্যে ৯ জনসহ ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব ও উপদেষ্টা পর্যায়ের অন্তত ৮৫ জন শীর্ষ নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 

অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী এখনো আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করলেও স্থানীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৮৫টি গুরুত্বপূর্ণ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীদের মুখোমুখি হচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থীরা, যারা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে লড়বেন।

 

উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত দুই দলের প্রার্থীদের মুখোমুখি লড়াই জমে উঠেছে। পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের বিপরীতে লড়ছেন জামায়াত নেতা ইকবাল হোসাইন। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মো. দেলাওয়ার হোসেন। দিনাজপুর-৩ আসনে খালেদা জিয়ার বিপরীতে লড়ছেন জামায়াতের অ্যাডভোকেট ময়নুল আলম।

 

রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র। রাজশাহী-২ আসনে বিএনপির মিজানুর রহমান মিনুর বিপরীতে আছেন জামায়াত নেতা ডা. জাহাঙ্গীর, নাটোর-২ আসনে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিপরীতে অধ্যাপক ইউনুস আলী, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিপরীতে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

 

দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা, যশোর, ভোলা ও বরিশালেও বড় লড়াইয়ের আভাস। খুলনা-৫ আসনে বিএনপির মোহাম্মদ আলী আসগরের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। ভোলা-৩ আসনে বিএনপির মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিপরীতে লড়বেন জামায়াতের মুহা. নিজামুল হক নাঈম। বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির মজিবুর রহমান সারোয়ারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জামায়াতের অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হেলাল।

 

রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও দুই দলের শীর্ষ নেতারা সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিপরীতে জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম, ঢাকা-৮ আসনে মির্জা আব্বাসের বিপরীতে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপির শফিকুল ইসলাম মিল্টনের বিপরীতে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

 

চট্টগ্রাম অঞ্চলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হতে চলেছে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিপরীতে লড়ছেন জামায়াতের অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, আর কক্সবাজার-১ আসনে সালাহউদ্দিন আহমদের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

 

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলের আলাদা প্রার্থী মাঠে নামানো জোট রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। একদিকে বিরোধী ভোট ব্যাংক বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্দ্বও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
 

 

এই বিভাগের আরো খবর