বুধবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১০ ১৪৩২   ০৪ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫

নিরাপত্তা ছক

রেড, ইয়েলো ও হোয়াইট জোনে ভাগ হচ্ছে রাজধানী

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫  

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যদিও তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সুবিধা পাচ্ছেন না, তবে তাঁর সুরক্ষায় ‘কভার্ট অ্যান্ড ওভার্ট’ (প্রকাশ্য ও গোপন) বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রণয়ন করা হয়েছে।

 

 

পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে তিনটি বিশেষ জোনে ভাগ করা হয়েছে:

 

  • রেড জোন: সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এলাকা। এখানে প্রবেশের জন্য বিশেষ সিকিউরিটি কার্ড বাধ্যতামূলক।

  • ইয়েলো জোন: সীমিত প্রবেশাধিকার। নির্দিষ্ট কার্ডধারীরাই এখানে থাকতে পারবেন।

  • হোয়াইট জোন: সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত এলাকা।

 

নিরাপত্তার ইনার কর্ডনে থাকবেন বিএনপির নিজস্ব ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিএসএফ) সদস্যরা। আর আউটার কর্ডনে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনীও। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে খিলক্ষেতের ৩০০ ফুট সংবর্ধনাস্থল এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকাটি আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ‘সুইপিং’ করা হচ্ছে।

 

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, তারেক রহমানের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম বলেন:

"আমরা প্রকাশ্য ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করছি। এসএসএফ সুবিধা না থাকলেও বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি রুট এবং তাঁর বাসভবন আমাদের কঠোর নজরদারিতে থাকবে।"

 

 

বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারেক রহমান সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁর মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। প্রিয় নেতার আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই গুলশান এলাকায় চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিটি থানায় বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

 

 

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিমানবন্দরে লাখো মানুষের সমাগম হতে পারে—এমন আশঙ্কায় উত্তরা, খিলক্ষেত, টঙ্গী ও আশুলিয়া এলাকার গার্মেন্টস কারখানাগুলো বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিজিএমইএ। শ্রমিকদের যাতায়াত এবং পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত।

 

 

২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান তারেক রহমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হলেও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি অনেক মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে তাঁর রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর