শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫০০

বাংলা চ্যানেল সাঁতরে রেকর্ড গড়লেন ভারতের নাসরিন

টেকনাফ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

মেয়েদের মধ্যে কম সময়ে সাঁতরে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে রেকর্ড গড়লেন ভারতের তাহরিনা নাসরিন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি। ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড সাঁতরে ১৬.১ কিলোমিটার দূরত্বে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান তাহরিনা। মেয়েদের মধ্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সবচেয়ে কম সময় নিয়ে  রেকর্ড গড়লেন ভারতের দূরপাল্লার এই নারী সাঁতারু তাহরিনা।  এসময় উৎসাহী পর্যটকরা করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানান। 

বাংলা চ্যানেল সাঁতারে আগের রেকর্ডটি ছিল সাইফুল ইসলাম রাসেলের। তিনি সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড। এর আগে মেয়েদের রেকর্ডটি ছিল ভারতের রিতু কেডিয়ার। তিনি বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এই সাঁতার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে এভারেস্ট একাডেমি। 

তাহরিনা নাসরিন প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন, যা যেকোনো ভারতীয় সাঁতারুদের মধ্যে দ্রুততম। তিনি প্রথম ভারতীয় বাঙালি নারী সাঁতারু হিসাবে বাংলা চ্যনেলে এই রেকর্ড গড়তে পেরে উচ্ছাস ব্যক্ত করেন। ২৪ বছর বয়সী তাহরিনা প্রথম নারী সাঁতারু হিসাবে বাংলা চ্যানেল ডাবল ক্রস করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন।

তাহরিনার বাবা শেখ আফসার আহমেদ বলেন, ‘আমার মেয়ে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ও অন্যান্য প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে। এতে আমি খুবই আনন্দিত।’ এর আগে ২০১৫ সালেও তার মেয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিল বলে জানান তিনি।

১৩ বছর পেরিয়েছে এই ‘বাংলা চ্যানেল সাঁতার’। কাজী হামিদুল হকের প্রতিষ্ঠান এক্সট্রিম বাংলা’র সঙ্গে আয়োজনে আয়োজক হিসাবে যুক্ত হয়েছে এভারেস্ট একাডেমি, ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। আর প্রতিবছর এই বিজয়ে নাম লিখিয়েছেন অনেকেই। বাংলা চ্যানেল ম্যারাথন সাঁতারে ২০১২ সালে যুক্ত হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ভ্যান গুল মিলকো। সে বছর থেকেই বাংলা চ্যানেল সাঁতারের নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ওয়াটার লং ডিসটেন্স সুইমিং লিস্ট’ ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকা আরও একবার গৌরবান্বিত হয়েছে।

সাঁতারটির আয়োজনে এভারেস্ট একাডেমির সাঁতার পরিচালনাকারী দলের সাথে ছিলেন হেলদি হোমের ডা. মহসীন কবির লিমন, লাইফগার্ড হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন সিআইপিআরবির সি-সেইফ সুইমিং প্রোগ্রামের লাইফগার্ড কামাল হোসেন, সাঁতারটিতে রেফারি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু এবং নেভিগেটর হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন রাফাহ্ উদ্দিন সিরাজী।
 

এই বিভাগের আরো খবর