রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৭ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক: প্রত্যাশা জামায়াত আমিরের

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫  

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্ধারিত সময়েই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

 

 

নির্বাচন প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন:

 

‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হোক, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এই লক্ষ্যে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবো। মূল কথা হলো নির্বাচনটা যেন সুষ্ঠু হয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, জনমতের প্রতিফলন ঘটে। এখানে যেন অন্য কিছু চিন্তা না করা হয়।’

 

 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধা ওসমান হাদিকে স্মরণ করে জামায়াত আমির বলেন, হাদিরা ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আপন সংস্কৃতির অতন্দ্র প্রহরী। তিনি বলেন:

 

‘হাদির খুনিরা কার্যত বাংলাদেশেরই দুশমন। কারণ, হাদিরা বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলতো... হাদিরা কোটি তরুণের প্রাণে দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। তারা বলেছিল জীবন দিবো তবুও চব্বিশ দিবো না, এটা কেন বলেছিল আমরা সবাই বুঝি। এটাই তাদের অপরাধ।’

ডা. শফিকুর রহমান আরও যোগ করেন যে, হাদি কখনো কারও ওপর জুলুম করেননি, বরং সব সময় ইনসাফের কথা বলেছেন। তাঁর এই জনপ্রিয়তা ও আদর্শই সম্ভবত ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য সহ্য করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।

 

 

হাদি হত্যার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন:

 

‘হাদির হত্যাকারীদের বিচারে সরকার এখন পর্যন্ত যা করেছে, তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। অতি দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি খুনিরা পার পেয়ে যায়, তাহলে আপনার আমার কারো জীবনই নিরাপদ বলা যায় না।’

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যারা বিপ্লবী তাদের খুন করে সেই চেতনাকে স্তব্ধ করা যায় না, বরং তা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

 

 

গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী গণসংযোগকালে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল শনিবার সংসদ ভবনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজা শেষে তাঁকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর