বৃহস্পতিবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১১ ১৪৩২   ০৫ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮

‘নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই’: গণসংবর্ধনা মঞ্চে তারেক রহমানের ঘোষণা

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫  

দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজকীয় বেশে স্বদেশের মাটিতে পা রাখলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট (৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে) এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে এসে পৌঁছান। এ সময় জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া সংবর্ধনাস্থল ‘লিডার আসছেন’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

 

 

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘ সময় পর মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং মাটি ছুঁয়ে দেখেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

 

পরবর্তীতে বিমানবন্দর থেকে একটি লাল-সবুজ রঙের বুলেটপ্রুফ বাসে চড়ে তিনি ৩০০ ফিট এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাস্তার দুই পাশে অপেক্ষমাণ লাখ লাখ নেতাকর্মী হাত নেড়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। নেতাকর্মীদের ভিড় ঠেলে প্রায় ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর তিনি মঞ্চে ওঠেন।

 

 

মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান হাত নেড়ে উপস্থিত জনতার অভিবাদন গ্রহণ করেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছাড়াও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলের শীর্ষ নেতারা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পুরো মঞ্চে একমাত্র বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

 

 

বিকেল ৪টার দিকে তারেক রহমান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ শুরু করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে একটি গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন:

 

“সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই। যে দেশে থাকবে শান্তি ও ইনসাফ।”

তিনি আরও বলেন, এই বিজয় কোনো একক ব্যক্তির বা দলের নয়, এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়। হিংসা ও আক্রোশ পরিহার করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

 

 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে তারেক রহমানের সফরসূচি অনুযায়ী তিনি সরাসরি বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাঁর দোয়া নেবেন।  মায়ের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তিনি গুলশান-২ এর নিজ বাসভবন (১৯৬ নম্বর বাড়ি) এ ফিরে যাবেন। উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান দুপুরেই গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন। তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে পুরো ঢাকা শহরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর প্রায় ২ হাজার সদস্য এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর