শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৪৮

টেকনাফে নিখোঁজ দুই খালাতো ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০১৮  

কক্সবাজারের টেকনাফে আট ঘণ্টার ব্যবধানে নিখোঁজ দুই খালাতো ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে হারিয়াখালী এলাকা থেকে মো. হেলাল ও সন্ধ্যায় তার খালাতো ভাই মিজানের মরদেহ পাওয়া যায়। তারা বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

নিহত মো. হেলাল (১৮) টেকনাফের সাবরাং ইউপির কচুবনিয়ার মৃত জালাল আহমদ বৈদ্যের ছেলে। তিনি পেশায় টমটম চালক। আর মিজান (১৪) সাবরাং কুয়ানছড়ি পাড়া এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে এবং চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সাবরাং হারিয়াখালী এলাকার বেড়িবাঁধ থেকে হেলালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তার খালাতো ভাই মিজানের মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হারিয়াখালী এলাকায় হেলালের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল তার একটু দূরেই মিজানের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার এসআই ইব্রাহিম।

এসআই মো. ইব্রাহীম জানান, খবর পেয়ে হেলালের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার মুখে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও বড় ধরনের ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

এদিকে, নিহত মিজানের বাবা সাবরাং কুয়ানছড়ি পাড়ার মিয়া হোসেন জানান, মিজান ১০-১২ দিন আগে তার বোনের বাড়িতে ছিল। সেখান থেকে দুইদিন আগে কচুবনিয়া এলাকায় খালার বাড়িতে যায়। সর্বশেষ বুধবার রাতে হেলাল ও মিজানকে একসঙ্গে দেখেছে গ্রামের লোকজন।

মিজানের বাবা আরও জানান, মাসখানেক আগে হেলালের সঙ্গে স্থানীয় রফিকের স্ত্রী পালিয়ে যায়। পরে রফিকের পরিবারের চাপে তাকে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় হেলালকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল রফিক ও তার ভাইয়েরা। তারই জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। হয়তো মিজান সঙ্গে থাকায় তাকেও মেরে ফেলেছে ঘাতকরা।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দুটি মরদেহ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে কেন তারা মারা গেছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর