আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার মাটির চুলা
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
কালের প্রবাহে হারাতে বসেছে মানিকগঞ্জের আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের স্মারক মাটির চুলা । মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে দেশের অন্য অঞ্চলের মত মানিকগঞ্জ জেলার গ্রামীণ নারীদের একমাত্র অবলম্বন ছিল মাটির চুলায় রান্না। এক সময় এ জেলায় গ্রামীণ মানুষের রান্নার একমাত্র অবলম্বন ছিল মাটির চুলা। বর্তমানে বিদ্যুৎ আর গ্যাসের যুগে কাঠ, খড়ি জ্বালানির ঝামেলা এড়াতে ঝুঁকছেন বিদ্যুৎ, গ্যাস, ম্যাজিক চুলার ব্যবহারের দিকে। এতে আবহমান বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলায় রান্না করা খাবার ও রান্নার স্বাদ। হারিয়ে যাচ্ছে মায়েদের নিপুন হাতের শৈল্পিক হস্তশিল্প।
ঐতিহ্যের মাটির চুলা আধুনিকতার ছোঁয়ায় আজ বিলুপ্তির পথে। বর্তমান যন্ত্রনির্ভর যুগে আজ নারীরা নির্ভরশীল হচ্ছে গ্যাসের চুলায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা। হয়তো একদিন সনাতনী পদ্ধতির মাটির চুলা একদিন জীবন থেকে উঠে আসবে গল্প, কবিতা, নাটক, সিনেমায় । আধুনিক সমাজে পৌঁছে যাবে শিল্পীর চিত্রকর্মে বইয়ের প্রচ্ছদে প্রচ্ছদে।
রান্না করার জন্য মাটি দিয়ে নির্মিত চুলাকে “মাটির চুলা” বলা হয়। এক সময় গ্রাম-বাংলায় রান্না-বান্নার মূল ভিত্তি ছিল এই মাটির চুলা। প্রাচীন মানুষের কাঠ ও খড়কুটো জ্বালিয়ে তাতে খাবার পুড়িয়ে খেত। পুড়িয়ে খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকে ধীরে ধীরে মানুষ শিখে নেয় চুলা বানানোর কৌশল। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে প্রথম চুলা তৈরি হয় মাটি দিয়ে। প্রথম চুলার আবিষ্কারের পর শত শত বছরের অনুশীলন মানুষকে আজকে চুলা বানাতে সহায়তা করেছে।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জে আগে রান্নাবান্নার মূল ভিত্তি ছিল মাটির চুলা। শীতকাল আসলেই মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত বাড়ির নারীরা ঘরের পাশে মাটির চুলা তৈরির ধুম লেগে যেতো । আশেপাশের ফসলি জমি থেকে মাটি এনে সুন্দর করে মাটির চুলা বানাতেন তারা। কারিগড়রা একমুঠো দুইমুঠো করে একের পর এক মাটি সাজিয়ে তৈরি করতেন চুলা। নিপুন হাতের ছোয়ায় ধীরে ধীরে মাটির চুলায় সৌন্দয্য পায়।সে সময় চুলার চারপাশে বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ দ্বারা ফুটিয়ে তুলতেন চুলার সৌন্দর্য।
মাটির চুলা প্রথমে মাটিতে বিশেষভাবে গর্ত করে চুলা বানানো হয়। গর্তের ওপর থাকে মাটির তিনটি অনুচ্চ স্তম্ভ দেওয়া হয়। এই স্তম্ভগুলোর ওপরই হাঁড়ি বা পাতিল বসিয়ে রান্না করা হয়। একমুখো, দুমুখো ও তিনমুখো—এই তিন ধরনের চুলার ব্যবহার সর্বাধিক। প্রতিটি চুলায় সাধারণত একটি করে জ্বালানি প্রবেশের মুখ থাকে। যেসব চুলায় একটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেটিই একমুখো চুলা। যে চুলায় দুটি হাঁড়ি বসানো যায়, সেগুলো দুমুখো চুলা। দুমুখো মাটির চুলা দিয়ে সাধারণত বাড়িতে ধান সিদ্ধ বা অনুষ্ঠানের খাবার রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। তিনমুখো চুলায় একই সঙ্গে পাশাপাশি তিনটি হাঁড়ি বা ডেকচি বসানো যায়। এ ধরনের চুলায় লাকড়ি প্রবেশের দুটি মুখেরও দেখা পাওয়া যায় কোনো কোনো বাড়িতে। তিনমুখো চুলার ব্যবহার খুব বেশি চোখে পড়ে না। মূলত ধান সিদ্ধ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তোলা চুলা বলে এক ধরনের চুলা আছে। মূলত এটি একমুখো চুলা। তবে এটি তৈরি করা হয় পরিত্যক্ত গামলায় মাটি দিয়ে। সাধারণত হালকা খাবার রান্না, খাবার গরম করা, দুধ গরম করা, চা তৈরি ইত্যাদি কাজে এটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে এটিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অনায়াসে নিয়ে যাওয়া যায়।
সাধারণত মাটির চুলায় কাঠ, বাঁশ, খড়কুটো, পাটকাঠি, শুকনো পাতা প্রভৃতি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। রান্নাঘরের চুলা যত বেশি পুরনো হয়, তার ভেতরের মাটি পুড়তে পুড়তে তত বেশি লাল হয়। পুরনো চুলা তাপ ছড়ায় দ্রুত। রান্না শেষে মাটির চুলার আগুন নেভানোর পরও তাতে জ্বলন্ত কয়লা ও গরম ছাই থেকে যায়।
সাধারনত গ্যাসের চুলার গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন, সালফার ডাই অক্সাইড, সামান্য ইথেন, অতিসামান্য পরিমান পেট্রোল জাত পদার্থ থাকে। যখন আগুনের সংস্পর্শে আসে তখন এগুলো পুড়তে থাকে। আর পরিবেশে অবশিষ্টাংশ ছড়াতে থাকে। এমন সময় পাতিলে থাকা খাবারেও কার্বনজাত পদার্থ, কার্বন ন্যানোপার্টিকেল, কার্বন ডাইঅক্সাইড অল্প পরিমানে মিশতে থাকে। ঢাকনা বিহীন রান্নাতে মিথেন মিশে গিয়ে ওয়াটার গ্যাস সৃষ্টি করে। যার কারনে খাবারের প্রকৃত স্বাদের হেরফের ঘটে। কিন্তু মাটির চুল্লীতে কাঠ/খড় পোড়ানো হয়। যাতে থাকে সেলুলোজ পদার্থ। এগুলো পরিবেশে সম্পূর্ন দহন হয়। কোনো প্রকার মিথেন বা গ্যাসীয় পদার্থ নির্গত হয় না। তবে যে ধোয়াটা বের হয় তা কম ক্ষতিকর কার্বনের ধোয়া। যা পরিবেশে উবে যায়। খাবারে কোনো ইফেক্ট ফেলে না। এই কারনে মাটির চুলায় খাবারের স্বাদ বজায় থাকে।চুলার আবিষ্কার মানবজাতির গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর অন্যতম। প্রাচীন মানুষের কাঠ ও খড়কুটো জ্বালিয়ে তাতে খাবার পুড়িয়ে খাওয়ার যে ঐতিহাসিক গল্প আমরা জানি, তার থেকে এক ধাপ এগিয়ে যায় মানুষ চুলার আবিষ্কারের পর। প্রথম চুলার আবিষ্কারের পর শত শত বছরের অনুশীলন মানুষকে আজকের চুলা বানাতে সহায়তা করেছে।
মাটির চুলার ছাই সবজি চাষে কাজে লাগে। মাছ কাটতেও ছাই ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া গ্রামবাংলায় এখনো অনেক পরিবার হাঁড়ি-পাতিল ধুতে ছাই ব্যবহার করে।
সাধারণত মাটির চুলা বানানোর কাজটি করে থাকে গ্রাম বাংলার নারীরা।
- নির্বাচন ঘিরে গাজীপুর রেড ক্রিসেন্টে আলোচনায় আমজাদ–সিরাজী
- জবি দর্শন বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিত্তুল মুনা
- হাদির ওপর হামলা: সীমান্তে লোক পারাপারে জড়িত সন্দেহে দুইজন আটক
- মেডিকেল-ডেন্টাল ভর্তি ফলাফল প্রকাশ, পাশের হার ৬৬.৫৭%
- সিডনির বন্ডি বিচে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত
- পরিত্যক্ত নলকূপে শিশু সাজিদের মৃত্যু, ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি
- বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে তিতুমীর কলেজে দোয়া মাহফিল
- ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
- সাত বছর লিভ-ইনের পর আংটি বদল
- ভোল পাল্টে স্বাধীনতাবিরোধীরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার ভান করছে
- এক ঝাঁক তারকা নিয়ে আসছে ‘বনলতা এক্সপ্রেস’
- মেসিকে ‘Goat’ বলে তোপের মুখে শুভশ্রী
- ডালোত রিয়ালে? বার্নাব্যুতে ইউনাইটেডের পর্তুগিজ ছোঁয়া
- ১০ বিলিয়ন ইউরোর ‘অবিশ্বাস্য’ প্রস্তাব!
- হামলাকারীরা ভারতে পলাতক? ডিএমপি বলছে,তথ্য নেই
- রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা শেষে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকের ওপর হামলা
- হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক গ্রেফতার
- শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
- এক বাক্সে দুই ভোট: জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট
- নির্বাচন ঘিরে ‘গুপ্ত হামলা’ ও অবৈধ অস্ত্রের শঙ্কা
- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধ
- টঙ্গীতে প্রকাশ্যে গুলি, বিকাশ কর্মীর ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই
- অভিনেত্রী ব্লাউজের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলেন পুরোহিত
- হামলার পেছনের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখার আহ্বান জানালেন তারেক রহমান
- উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির কঠোর অবস্থান
- জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- র্যাব-৯ অভিযানে ৫৪ লিটার মদসহ মিহির গ্রেপ্তার
- হাদির ওপর হামলাকে বৃহৎ চক্রান্তের অংশ বলছে বিএনপি
- ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- নির্বাচন সামনে রেখে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ শুরুর ঘোষণা
- রুপার আকাশছোঁয়া দাম: বিশ্ববাজারে সৃষ্টি হলো নতুন রেকর্ড
- গণশিক্ষা উপদেষ্টার দুঃসংবাদ: ৩২ হাজার শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ
- ছিলইন ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় অভিভাবক ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- নৌপরিবহনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ: আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আইন উন্নীতকরণ
- ২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- টঙ্গীতে মৃত সন্তান হওয়ায় জানালা দিয়ে ফেলে দিল পরিবার
- গাজীপুর সদরে ওয়ার্ড যুবদলের সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারর
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: দিনক্ষণ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই
- শনির আখড়ায় গ্যাস সংকটে ক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ
- গাজীপুরে ছাত্রশক্তির ৬৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন
- হাদি হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
- গাজীপুরে ছাত্রশক্তির ৬৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন
- লাকসাম জনকল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম: নব-নির্বাচিত কমিটির অভিষেক
- তফসিল ঘোষণার পর বিক্ষোভ করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব
- চট্টগ্রামস্থ বৃহত্তর জনকল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা
- `তামান্না-বিজয়ের প্রেম` সংবাদে ছেয়ে যাওয়ায় বিব্রত অভিনেতা
- তিতাসে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান
- গাজীপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার: প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
- গাজীপুরে যুবদলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া
- র্যাব-৯ অভিযানে ৫৪ লিটার মদসহ মিহির গ্রেপ্তার
- টক এবং মিষ্টি স্বাদের চাম কাঁঠাল এখন বিলুপ্তপ্রায়
- পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে কুমিল্লার ঘোগরাবিল
- ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
- দঃ সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা
- লাকসামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
- লাকসাম মনোহরগঞ্জের বন্যার্তদের পাশে নবযাত্রা বাংলাদেশ
- শরীয়তপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান
- মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান’কে কোণঠাশা করার চেষ্টা
- গাছের সাথে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
- লালমাইতে ট্রাক-বাসের মুখমোখী সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ১৫ : ছবিসহ
- জমি নিয়ে বিরোধ, গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা
- জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ নিম্নস্তরের এলাকা বাসিন্দাদের
- মরুভূমির গাছের ফল ধরল বাংলাদেশের মাটিতে! দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
- লবণ গুজবে সারা দেশে পুলিশকে মাঠে নামার নির্দেশ
- দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুর্নীতিবিরোধী দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
