ব্রেকিং:
এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই

শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২   ১৬ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮১

অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২৫  

প্রবীণ অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

 

আজ রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান মিশা সওদাগর।

 

প্রবীর মিত্র দীর্ঘদিন ধরে শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পুরান ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন।

 

তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। স্কুলজীবন থেকেই তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত হন। স্কুলের ছাত্রাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রবীর মিত্র।

১৯৬৯ সালে নির্মিত ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়।

 

প্রয়াত এইচ আকবর পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

প্রবীর মিত্র অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’ ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’।

 

প্রায় চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। নান্দনিক অভিনয়ের জন্য বরাবরই প্রশংসিত প্রবীর মিত্র। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার পুরস্কার ভাগ্য প্রসন্ন নয়।

কেবল ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

 

পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত তিনি। এ সময় ঘরবন্দিই কাটছিল তার দিন-রাত।

এই বিভাগের আরো খবর