বুধবার   ১২ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৭ ১৪৩২   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২২

৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে ১১ বছর, কবে মিলবে সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি। ছবি: সংগৃহীত

চোখের জল শুকিয়েছে অনেক আগেই, মায়ের দুচোখে এখন শুধুই শূন্যতা। হত্যার বিচার পাওয়া তো দূরের কথা এখনো জানতে পারেননি কেন এবং কি কারণে হত্যা করা হলো সন্তানকে। শত কষ্ট বুকে চেপে এভাবে একে একে কেটেছে ৪ হাজার ১৫ দিন। শেষ হয়নি মায়ের প্রতীক্ষা।

আজকের এই দিনে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করে রুনীর পরিবার। সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়।

কিন্তু সেই ৪৮ ঘণ্টা রূপ নিয়েছে ৯৬ হাজার ৩৬০ ঘণ্টায়। শনাক্তই হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারী। ১১ বছরেও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। স্বজনহারা পরিবার ও সহকর্মীদের প্রশ্ন, বিচার পেতে আর কতো অপেক্ষা করতে হবে তাদের।

হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে ৬২ দিন পর তারাও হত্যা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার হাত বদল হয় এলিট ফোর্স র‌্যাবের কাছে। দায়িত্ব নেয়ার পর কবর থেকে তোলা হয় সাগর-রুনির মরদেহ। ৯ ধরনের আলামতের ডিএনএ টেস্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় র‌্যাব। সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি সংস্থাটি। এ কারণে এখন পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য ৯৫ বার সময় চেয়ে আবেদন করে তারা।

সাগর-রুনি হত্যার শুরু থেকেই এ নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক কামরুল হাসান। তার মতে, ১০ বছরেও চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে না পারা তদন্ত সংস্থার ব্যর্থতা।
আগামী ৫ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উন্মোচন না হলে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে সময় সংবাদের বার্তাপ্রধান মুজতবা দানিশসহ সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচি এ দাবি জানানো হয়। ১১ বছরেও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৯৪ বার সময় দেয়ার পরও পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা।

এদিন সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশকে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদ জানায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো। মুজতবা দানিশের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নালিশি আবেদন প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকার বাইরে মাদারীপুর, নরসিংদী এবং মুন্সিগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এতে অংশ নেন সংস্কৃতিকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সচেতন মহল।

‘রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হকের বিরুদ্ধে ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে একটি স্ক্রল যায় সময় সংবাদে। ২০২২ সালের ৮ আগস্ট প্রচারিত স্ক্রলের ১ মাস ১২ দিন পর রংপুর আদালতে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ ও রংপুরের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করে সামসুল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫টি থানা পুলিশ ঠিকানা যাচাইয়ের নামে একাধিকবার হয়রানি করে সময় টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ও তার পরিবারকে।

এই বিভাগের আরো খবর