ব্রেকিং:
এসএসসি পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই

শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৭ ১৪৩২   ১৬ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫২১

প্রাথমিকে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন : শিশুদের নেতৃত্ব ও গণতন্ত্

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০১৯  

আজকের শিশুরাই আগামী দিনে জাতির কর্ণধার। আর তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা, নেতৃত্ব সৃষ্টি ও পড়ালেখায় মনোযোগী করে তুলতে প্রতি বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের নাম ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন’। বাংলাদেশে মোট সরকারি ৬৩ হাজার ৬০১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ২০ ফেব্রয়ারি বুধবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা প্রার্থী হয়ে এবং ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি। শিক্ষণীয় বিষয় হলো-শিশুরাই নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছে। তারা দেখিয়ে দেয়-কিভাবে নির্বাচন করতে হয়। এখানে জোরপূর্বক ভোট গ্রহণ বা জাল ভোট দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

অপরদিকে জাতীয় সংসদ, সিটি, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। নির্বাচনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক পেশে নীতি প্রদর্শন, মোটা অঙ্কের উৎকোচ নেয়া ও রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব বেশি কাজ করে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহন থেকে অনেকটা ইচ্ছে করেই দূরে থাকে। ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ ১ মার্চকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ হিসেবে পালন করে সরকার। তরুণ সমাজকে ভোটে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতেও এ দিবসটি গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়।  

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের আগে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে লিফলেট, পোস্টার, ক্যাম্পেইন সবই হয়। বিদ্যালয় কক্ষে জাতীয় নির্বাচনের আদলে বসানো হয়েছে গোপন বুথ। ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে প্রার্থীদের নামে নামে। জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের ন্যায় যথাযথ নিয়ম মেনে এই নির্বাচন পরিচালনা হয়। সকাল ৯ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষের সামনে ক্ষুদে ভোটাররা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে ভোট প্রদান করে। ভোটারদের আঙুলে দেয়া হয় অমচোনীয় কালির ছাপ। নিবার্চন শেষে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচনের কার্যক্রম শেষ করা হয়। তারাই নির্বাচিত করে তাদের প্রতিনিধি। 

একটি দেশের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে শিক্ষা। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক স্তরেই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত রচিত হয়। বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৯০ সালে এ শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। আর ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ, ভর্তি বৃদ্ধি, শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে শিক্ষকদের শিক্ষাদান সংক্রান্ত কার্যাবলীর তদারকিসহ ১০ দফা দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে চলমান রয়েছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বা এসএমসি কার্যক্রম। আর শিক্ষক-অভিভাবকদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলাসহ ৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সমিতি বা পিটিএ’র কার্যক্রমও চলছে সব স্কুলে। 

সূত্র জানায়, প্রতি বছর জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারি মাসে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ৭ সদস্যের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার বিধান চালু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ৭ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে ৭টি দপ্তরও বন্টনের কথা নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সভায়। দপ্তরগুলো হচ্ছে-স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, পরিবেশ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী, বৃক্ষরোপণ ও বাগান তৈরি এবং অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন। এসব দপ্তর যাদের ওপর অর্পিত হয় তাদের কেউ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কেউ শিক্ষামন্ত্রী, আবার কেউ পরিবেশ মন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পায়। এ সাত কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তীকালে তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। 

শিক্ষার্থীরা জানায়, জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে তারা খুবই খুশি। বড়দের মতো তারাও নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই বিদ্যালয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধার দেখভাল করবে। নির্বাচিত এসব প্রতিনিধিরা বৃক্ষরোপণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, টিকাদানসহ বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের সহযোগিতা করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যায় তারা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। 
স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে শৈশব থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, পরমতসহিষ্ণুতা, মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাভাব অর্জন অনেকটা সহজতর হতে পারে। এছাড়া বিদ্যালয়ের লেখাপড়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা ও  পরিবেশ উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে এ নির্বাচনের মাধ্যমে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। 

দেখার বিষয় হলো; দেশের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। চলছে স্বেচ্ছাচারিতা ও রাজনৈতিক প্রভাব। এ কারণে ওই সব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দাবি আদায় করতে পারছে না। পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়াই এক পেশে হয়ে উঠেছে শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু ক্ষুদে শিক্ষার্থীরে ‘স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন’ এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আশা জাগায় শিক্ষিত মহল ও সচেতন মানুষদের। এভাবে কিন্ডার গার্টেন, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ অন্যান্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্ট কাউন্সিল কাউন্সিল নির্বাচন করলে নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। গড়ে উঠবে সততা ও স্বাধীনতার মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব। 

কারণ-নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম, নাগরিকতাবোধ, কর্তব্যবোধ, সৃজনশীলতা, অধ্যবসায়, সদাচার, ন্যায়-নিষ্ঠার মতো গুণ সৃষ্টি করতে প্রতিদিন সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যা প্রাত্যহিক বা দৈনিক সমাবেশ নামেই পরিচিত। প্রাত্যহিক সমাবেশ পরিচালনার কিছু নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো সুনির্দিষ্ট। দৈনিক সমাবেশে একজন শিক্ষার্থী যে কোন স্থানে দাঁড়িয়েই গেলেই চলবে না, দৈনিক সমাবেশের লাইন ও ফাইল শ্রেণি ভিত্তিক হতে হবে এবং লাইন ও ফাইল উচ্চতা অনুযায়ী সামনে ছোট থেকে পেছনে বড় সাজিয়ে দাঁড়াতে হবে। শুধু শিক্ষার্থী না শিক্ষকদের দাঁড়ানোর নিয়মও সুনির্দিষ্ট। যেমন পতাকার বাম পাশে প্রধান শিক্ষক, ডান পাশে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ,তার ডান পাশে বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টেন বা স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে প্রতিনিধি সমাবেশের দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন আর অন্য শিক্ষকেরা ও যে কোন এক পাশে লাইন বা অর্ধবৃত্ত করে পতাকার দিকে মুখ করে দাঁড়াবেন। 

সমাবেশে শেখানো হয়, এমন উল্লেখযোগ্য চুয়াল্লিশটি স্লোগান হলো শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা চাই, শিক্ষা ছাড়া উপায় নাই। শিক্ষার আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো। পড়ার সময় পড়ব, খেলার সময় খেলব। লেখাপড়া শিখব, দেশটাকে গড়ব। ধনী-গরিব বিভেদ নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই। শিক্ষা আমার অধিকার, শিক্ষা আমার অহঙ্কার। শিক্ষাই জীবনের মূল, ঝরে পড়া বিরাট ভুল। বিদ্যালয়ে আসবে যারা, সুখী জীবন গড়বে তারা। সৎ পথে চলব, সুন্দর জীবন গড়ব। নিরর থাকব না, দেশের বোঝা হবো না। সদা সত্য কথা বলব, মোরা সুখী জীবন গড়ব। যার নেই শিক্ষা, তার নেই রা। ধূমপানে বিষপান, করব না করব না। যদি চাও দেশের উন্নতি, শিক্ষা ছাড়া নাইরে গতি। দিন বদলের বইছে হাওয়া, শিক্ষা মোদের প্রথম চাওয়া। একীভূত শিক্ষা, হোক মোদের দীা। লেখাপড়ার বিকল্প নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই। কৃষক বলে শ্রমিক ভাই, শিক্ষা ছাড়া উপায় নাই।

আমরা শিশু জাতির মূল, বিদ্যালয়ে ফোটাই ফুল। শিক্ষিত কন্যা, শতগুণে ধন্যা। নারী পুরুষ সবাই সমান, শিক্ষা দিয়ে করব প্রমাণ। শিক্ষাই শক্তি, শিক্ষাই মুক্তি। নতুন বছর নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন। কনুই তুলে মারব হাঁচি, অন্যকে বাঁচাই নিজে বাঁচি। শিশুর বয়স হলে পাঁচ, ভর্তি কর বিদ্যালয়ে। শতভাগ ভর্তির হার, বাংলাদেশের অহঙ্কার। নখ কাটি চুল ছাঁটি, থাকব মোরা পরিপাটি। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা, পরিষ্কার রাখব। বাংলাদেশ বাংলাদেশ, চিরজীবী হোক চিরজীবী হোক। এসো বোন এসো ভাই, চলো সবাই স্কুলে যাই। হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, সুস্থ-সুন্দর মন চাই। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলব না, পরিবেশ নষ্ট করব না। সুস্থ যদি থাকতে চান, পুষ্টিকর খাবার খান। শতভাগ ভর্তির হার, জাতির জন্য অহঙ্কার। নিয়মিত নখ কাটো, রোগ জীবাণু দূরে রাখো। করব মোরা মাদক বর্জন, গড়ব মোরা সুখের জীবন। লেখাপড়া শিখব, নতুন জীবন গড়ব। শিক্ষা জাতির অধিকার, শিক্ষা জাতির অহঙ্কার। লেখাপড়া শিখে মোরা উঠব হয়ে দেশের সেরা। লেখাপড়া শিখব, সোনার বাংলা গড়ব। বিদ্যালয় আমার ঘর, রাখব সদা পরিষ্কার। লাল ফুল নীল ফুল, শিশু হলো বিদ্যালয়ের ফুল। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, পরিষ্কার রাখব পরিষ্কার রাখব। ছেলেমেয়ে বিভেদ নাই, চলো সবাই স্কুলে যাই। 

সুত্রমতে, সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ কোটি ১৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৩৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য রয়েছেন ৩ লক্ষ ২২ হাজার ৭৬৬ জন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের বিদ্যালয়ে নীট ভর্তির হার শতকরা ৯৭.৯৪ ভাগ। স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন সমাবেশ ও মা সমাবেশের কারণে কমেছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার। দেশের ৬৩ হাজার ৬০১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাত্যহিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকালীন মেনে চলা ৯টি কর্মসূচি হচ্ছে- প্রথমে প্রধান শিক্ষক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং এই সময় সবাই সোজা হয়ে থাকবে। তিনি পতাকা উত্তোলন করে এক কদম পেছনে এসে পতাকাকে অভিবাদন জানাবেন। সাথে সাথে অন্য সবাই সোজা অবস্থায় হাত তুলে অভিবাদন জানাবে। পালাক্রমে প্রত্যেক দিন একজন শিক্ষার্থী এসে কুরআন শরিফ পাঠ করবে এবং হিন্দু শিক্ষার্থী থাকলে গীতা পাঠ করবে। কুরআন তিলাওয়াতের সময় সবাই আরামে বুকে হাত দিয়ে দাঁড়াবে। তারপর শ্রেণীর অন্য একজন এসে শপথ পাঠ করাবে। শ্রেণীর একজনের আদেশের দ্বারা সমাবেশ পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সবাই এক সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাইবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভাষণ (প্রয়োজন বোধে) থাকতে পারে। পাঁচ মিনিটের জন্য শরীর চর্চা অনুশীলন। এমন শরীর চর্চা করানো যাবে না যাতে জামাকাপড়ে মাটি লাগার সম্ভাবনা থাকে। তারপর শারীরিক শিক্ষকের নির্দেশে সবাই ক্যাপ্টেনের তত্ত¡াবধানে সবাই সারিবদ্ধভাবে ক্লাসে যাবে।
এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে দলীয় মনোভাব ও সমঝোতা বৃদ্ধি, জাতীয় চেতনা, জাতীয়তা বোধ এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়। সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পায়। দেহ ও মনে সুস্থ জীবন-যাপন করতে পারে।

এ ব্যাপারে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম বলেন, স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছায়া মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তোলে। এতে কোমলমতি শিশুদের মাঝে গণতান্ত্রিক চেতনা সৃষ্টি, নেতৃত্বের বিকাশ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি হয়। এতে শিশুর মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর