শনিবার   ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২২ ১৪৩২   ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১

নতুন ট্রাফিক সিগন্যালেও ত্রুটি, ভরসা সেই ‘হাতের ইশারা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

নতুন সিগন্যাল বাতি বসিয়ে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছে সরকার/জাগো নিউজ
• ১৮ কোটি টাকায় ২২টি ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হচ্ছে
• এরই মধ্যে সাতটি সিগন্যাল পরীক্ষামূলক চলছে
• নতুন সিগন্যাল স্থাপনের বিষয়টি জানেন না পরিবহন শ্রমিক-মালিকেরা

ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা আনতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। উচ্চ আদালত মোড় থেকে শাহবাগ-বিজয় সরণি হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত বুয়েটের কারিগরি সহায়তায় ২২টি নতুন মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানো হচ্ছে। সাতটি মোড়ে সিগন্যাল স্থাপন শেষে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ভরসা সেই সনাতনী হাতের ইশারা।


নতুন বসানো সিগন্যালগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখতে গত রোববার (৩১ আগস্ট) থেকে দুই সপ্তাহের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। তবে শুরুতেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব সিগন্যালে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ছে। এসব সমস্যা সমাধানের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এতদিন বিদেশ থেকে আমদানি করে এসব বাতি বসানো হতো।

নতুন করে এ সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সিটি করপোরেশন হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন অথরিটি। আর পুলিশ এনফোর্সমেন্ট করছে।

এসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় ঢাকায় সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। কিন্তু তার কোনো উদ্যোগেই কাজে আসেনি। তাই আগের একাধিক উদাহরণ সামনে রেখে ঢাকায় নতুন করে দেশীয় প্রযুক্তিতে সিগন্যাল বাতি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা।


ডিটিসিএ সূত্র জানায়, ঢাকায় নতুন করে সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকরে গত ২৮ আগস্ট ডিটিসিএ সভাকক্ষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিনের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রাথমিকভাবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ও জাহাঙ্গীর গেট মোড়ে সিগন্যাল ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী ৩১ আগস্ট থেকে ওই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। আর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের সময় লিফলেট বিতরণ ও টেলিভিশন প্রচারের মাধ্যমে পথচারী এবং ড্রাইভারদের সচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে।

নতুন সিগন্যাল বাতিগুলোতে নির্দিষ্ট সময় পরপর লাল ও সবুজ বাতি জ্বলার কথা। সে অনুযায়ী সব ধরনের বাহন চলবে ও থামবে। কিন্তু সরেজমিনে পরীক্ষামূলক সিগন্যাল বাতিগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সেই আগের নিয়মেই সব চলছে। কোথাও কোথাও আবার কোনো বাতিই জ্বলছে না। আবার চালকরাও বিষয়টি জানেন না। তারা হাতের ইশারায় চলতে অভ্যস্ত।

সরেজমিনে ৭ ট্রাফিক সিগন্যালে যা দেখা গেলো
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। জাহাঙ্গীর গেটে আলাদা চারটি ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক সিগন্যালে জ্বলছে লাল বাতি। কিন্তু কোথাও গাড়ি থেমে নেই। যে যার মতো গন্তব্যে ছুটছেন। হাতের ইশারায় ট্রাফিকের কাজ করছেন কয়েকজন কনস্টেবল।

এ সিগন্যাল থেকে সামান্য দূরত্বেই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ কার্যালয়ের সামনে দুটি সিগন্যালে লাল বাতি জ্বললেও আগারগাঁও ও ফার্মগেটগামী কোনো যানবাহনকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। এখানে ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারায় জাহাঙ্গীর গেটগামী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

যেগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেগুলোতে ট্রায়াল বেসিসে দেখা হচ্ছে, অন করলে টাইমিং ঠিক নেই। আবার কোনোটার লাইট মোডিফাই করতে হবে। আমরা অবজারভেশন করছি কীভাবে ফাইনাল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। হয়তো দুই সপ্তাহের মধ্যে চালু করা যাবে।- ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. রফিকুল ইসলাম

বিজয় সরণিতে সব সময় যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে এখানে কোনো ট্রাফিক বাতি জ্বলতে দেখা যায়নি। এ সময় চারপাশের সড়কে শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে ছিল। সব হাতের ইশারায় চলছে।

নতুন ট্রাফিক সিগন্যালেও ত্রুটি, ভরসা সেই ‘হাতের ইশারা’

ফার্মগেট পুলিশ বক্স ও কনকর্ড টাওয়ারের সামনে নতুন ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও এগুলো কার্যত বন্ধ দেখা গেছে। একইভাবে কারওয়ান বাজার মোড়ে ট্রাফিক লাইটও বন্ধ ছিল।


৯টা ১ মিনিটে বাংলামোটর মোড়ে শাহবাগগামী লেনে সিগন্যালে সবুজ বাতি জ্বললেও বিপরীত দিক থেকে যানবাহন চলতে দেখা যায়। তবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালগুলো ঠিকঠাক মতোই জ্বলছে। এখানে যানবাহনের চাপ কম থাকায় সমস্যা হয়নি।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে রয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বক্স। দেখা যায়, সেখানে একটি যন্ত্রের সাহায্যে অটোমেটিকভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ যন্ত্র ম্যানুয়ালভাবেও অপারেট করা যায়। যন্ত্রটি পরিচালনায় একজন অপারেটর দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রাজীব খাদেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুয়েট তার কারিগরি সক্ষমতা দিয়ে এসব ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট, যন্ত্র তৈরি করেছে। আর এগুলো স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। কোথাও কোনো লাইট নষ্ট হলে বা নতুন করে স্থাপন করতে করপোরেশন সহযোগিতা করবে।’

নতুন সিগন্যালের বিষয়ে জানেন না যানবাহন চালকেরা
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা। আজিমপুর থেকে আসা উত্তরাগামী ভিআইপি-২৭ বাস প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে হাতের ইশারায় সিগন্যাল দিয়ে দাঁড় করান ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। একই সঙ্গে অন্য যানবাহনও সেই জায়গায় থেমে যায়। অথচ সেখানে সিগন্যালে তখন সবুজ বাতি জ্বলছিল।

ভিআইপি বাসের চালক লিটন রায় বলেন, ‘ঢাকা শহরে তো সব জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যালের লাইট জ্বলে আর নেবে। কোনটা কার্যকর বা অকার্যকর দেখে তো বোঝার উপায় নেই। ট্রাফিক পুলিশের হাতের ইশারাই আমরা আইন মেনে চলি। তবে সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকর হলে সড়কে বিশৃঙ্খলা অনেকটা কমবে।’

ঢাকা শহরে সড়কে শৃঙ্খলা আনার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ। তিনি বলেন, ‘সিগন্যাল ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকা শহরে সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলছে। এখন নতুন করে ট্রাফিক লাইট স্থাপনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যাপকভাবে করা উচিত।’

ট্রাফিক লাইটগুলো স্থাপনের পর কিছু কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়বে এটা স্বাভাবিক। তবে এসব কারিগরি ত্রুটি অ্যাড্রেস করা সম্ভব। কারণ, আমরা জানি এর ভিতরে কোথায় কী আছে। একটা যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু এটা আমরা দ্রুত ঠিক করতে পারবো।- পরিবহন ও ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জমান

ঢাকা শহরে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার বাস চলে জানিয়ে কাজী জোবায়ের মাসুদ বলেন, ‘নতুন স্থাপন করা ট্রাফিক লাইটগুলো সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এখনো আমরা শিওর না তারা এটা চালু করেছে কি না। এখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তাই ট্রাফিক সাইড মেনে চলা বা এ বিষয়ে চালকদের অবহিত করা হয়নি।’

নতুন সিগন্যালের ত্রুটি বিষয়ে যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘শৃঙ্খলা আনার জন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। এখন যে সাতটি স্থানে সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে, এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। এখানে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়ছে। এগুলো কারেকশনের পর চূড়ান্তভাবে উদ্বোধন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেগুলো স্থাপন করা হয়েছে সেগুলোতে ট্রায়াল বেসিসে দেখা হচ্ছে, অন করলে টাইমিং ঠিক নেই। আবার কোনোটার লাইট মোডিফাই করতে হবে। আমরা অবজারভেশন করছি কীভাবে ফাইনাল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। হয়তো দুই সপ্তাহের মধ্যে চালু করা যাবে।’

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা মানুষের কল্যাণের জন্যই ব্যবহার করতে হবে জানিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে চাই। যদি যানবাহন চালকেরা সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালান, তাহলে হয়তো যানবাহনে শৃঙ্খলা আসবে। আবার পথচারীদেরও সিগন্যাল মেনে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে হবে।’

এ বিষয়ে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার জাগো নিউজকে বলেন, ‘কারিগরি কিছু ত্রুটি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ঠিক করে দিচ্ছেন বুয়েটের সংশ্লিষ্টরা। তবে সিগন্যালগুলোতে পথচারীদের নিয়ম মানাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা সড়কের মাঝপথ দিয়ে রাস্তা পার হন। তাই এ সিগন্যাল ব্যবস্থা কার্যকরে পথচারী ও যানবাহন চালকদেরই বেশি সচেতন হতে হবে।’

বুয়েটের পরিবহন ও ট্রাফিক সিস্টেম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ট্রাফিক লাইটগুলো স্থাপনের পর কিছু কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়বে এটা স্বাভাবিক। তবে এসব কারিগরি ত্রুটি অ্যাড্রেস করা সম্ভব। কারণ, আমরা জানি এর ভিতরে কোথায় কী আছে। একটা যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু এটা আমরা দ্রুত ঠিক করতে পারবো। অর্থাৎ, সিগন্যাল লাইট ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়। সেদিক থেকে এগুলো টেকসই। এটা নষ্ট হবে, কিন্তু ইমিডিয়েটলি ঠিক করার সুযোগ আছে।’

তিনি বলেন, ‘সিগন্যাল লাইটগুলোর যন্ত্রাংশ সব দেশীয় মার্কেট থেকে কেনা। একদম বেসিক লেভেলের টেকনোলজি। কারণ, আমরা এখনো খুব অ্যাডভান্সের জন্য প্রস্তুত না। যদি আমি বলি রাস্তায় রিকশা রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ট্রাফিক লাইট স্থাপন করবো, তাহলে বাইরের মানুষ দেখলেও কিন্তু এটা অন্যরকমভাবে নেবে। তাই এ লাইটগুলো আমরা এখানে ম্যানুয়াল ও অটোমেশনের মাধ্যমে চালানোর ব্যবস্থা রেখেছি। যখন ট্রাফিক বেশি থাকবে তখন আমরা ম্যানুয়ালি এগুলো ব্যবহার করবো।’

ট্রাফিক সিগন্যাল কার্যকরে আগের যত ব্যর্থ উদ্যোগ
ঢাকা মহানগরের জন্য প্রণীত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) দ্বিতীয়বার হালনাগাদের উদ্যোগ নিয়েছে ডিটিসিএ। এরই মধ্যে সবশেষ হালনাগাদ এসটিপি-২০২৫ এর একটি খসড়া প্রকাশ করেছে ডিটিসিএ। প্রতিবেদনে তথ্য বলছে, ঢাকায় প্রথমবারের মতো সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয় ষাটের দশকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সেগুলো অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীসময়ে ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণে ঢাকার ৬৮টি স্থানে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়। সে বাতিও খুব একটা কাজ করেনি। ২০০৯ সালের মধ্যে সব অকার্যকর হয়ে পড়ে।

পরে বিশ্বব্যাংকের ঋণে ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়ার উন্নয়নে আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় সব মিলে ৫১টি ইন্টারসেকশনে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়। এবারও এগুলো কোনো কাজে আসেনি। এমন অবস্থায় ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে জাইকার অর্থায়নে ঢাকার চারটি ইন্টারসেকশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। এগুলোও অকার্যকর হয়ে আছে। এভাবে ঢাকা মহানগরে ১৭৮টি স্থানে সিগন্যাল বাতির উপস্থিতি আছে। তবে বাতি কার্যকর আছে কেবল গুলশান-২ নম্বর গোল চত্বরে।


এমন অবস্থার মধ্যেই উচ্চ আদালতের সামনে থেকে শাহবাগ ফার্মগেট বিজয় সরণি জাহাঙ্গীর গেট মহাখালী হয়ে বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রাফিক লাইট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর