বুধবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৯ ১৪৩২   ০৪ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ ৮ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫  

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ এবং তাঁর সঙ্গে থাকা চার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা। দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা তিন ক্রু সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।

 

 

তুর্কি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেট জানায়, লিবিয়া সরকারের ভাড়া করা একটি প্রাইভেট জেটে করে সেনাপ্রধান ও তাঁর সফরসঙ্গীরা আঙ্কারা থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। আঙ্কারা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে হায়মানা অঞ্চলের কেসিককাভাক গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

 

প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান জানান, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। পাইলট নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রকে বিষয়টি অবহিত করে জরুরি অবতরণের (Emergency Landing) অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

 

 

এই দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সামরিক প্রতিষ্ঠানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। নিহত পাঁচ লিবীয় কর্মকর্তা হলেন: ১. জেনারেল মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ (সেনাপ্রধান)।  আল-ফিতৌরি ঘারিবিল (গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অব স্টাফ) ।  মাহমুদ আল-কাতাউই (মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক) ।  মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব (আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা) ।  মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব (মিলিটারি ফটোগ্রাফার)

 

এছাড়াও বিমানের তিনজন ক্রু সদস্য এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।

 

 

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা এক শোকবার্তায় বলেন:

 

“এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জাতির, সামরিক প্রতিষ্ঠানের এবং সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় ক্ষতি। আমরা এমন ব্যক্তিদের হারালাম যারা আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ এবং দেশপ্রেমের সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন।”

 

তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে কেবল কারিগরি ও প্রযুক্তিগত ত্রুটির প্রমাণ মিলেছে। সন্ত্রাসবাদ বা বাইরের কোনো আক্রমণের কোনো আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, লিবীয় সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ তাঁর তুর্কি সমকক্ষ ও সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করতে আঙ্কারা সফরে এসেছিলেন। এই আকস্মিক মৃত্যুতে লিবিয়ার সামরিক নেতৃত্বে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হলো।

এই বিভাগের আরো খবর