জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে নানা প্রশ্ন
তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৫
 
					
				রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনাকালে দেখা দিচ্ছে একের পর এক প্রশ্ন। এক প্রশ্নের সমাধান করলে দেখা দিচ্ছে নতুন প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, সাংবিধানিক আদেশ জারি ও গণভোটের মাধ্যমে পাস হলেও আগামী সংসদে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে? এ নিয়ে আজ শনিবার ফের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জুলাই সনদ যখন প্রণয়ন করা হচ্ছিল, তখন এর বাস্তবায়ন বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। সনদের খসড়া প্রণয়নের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এমনকি নানা
প্রক্রিয়ায় সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো গেলেও সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। আইনি ভিত্তির প্রশ্নে গণভোটের সিদ্ধান্তে একমত হলেও গণভোটের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দলগুলো।
এ অবস্থায় সনদের সঙ্গে পৃথক সুপারিশ আকারে সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রস্তাব সরকারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৫টি দল স্বাক্ষর করলেও পাঁচটি দল এখনো স্বাক্ষর করেনি। এর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র-তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর করবে না বলে জানিয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর থেকে এ নিয়ে কাজ করছে কমিশন।
কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএনপিসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামত এড়িয়ে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য প্রথমে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব করা হবে। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি প্রস্তাবিত ওই আদেশের নাম হবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ-২০২৫’। এটি সংবিধান ও অন্যান্য আইনের পরিপূরক হবে। ‘গণ-অভ্যুত্থানের ক্ষমতাবলে বিশেষ পরিস্থিতিতে এ আদেশ জারি করা হবে।’ এরপর একটি অধ্যাদেশ করা হবে।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণভোট হবে। এ ছাড়া বাস্তবায়ন সুপারিশে আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকার প্রস্তাব করা হবে। একটি ভূমিকা হলো সংবিধানের দরকারি সংশোধনগুলো করা, অন্যটি হলো নিয়মিত সংসদ হিসেবে পরবর্তী নির্বাচনের আগপর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া। সে ক্ষেত্রে আগামী সংসদ ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে ৯ মাসে বা ২৭০ দিনে জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে।
বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদ যদি ৯ মাসের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না করে, তাহলে কী হবে? সে ক্ষেত্রে প্রস্তাব করা হয়েছে, ৯ মাসের মধ্যে সংস্কার না করলে সংসদ এবং পরিষদ বিলুপ্ত হবে। তখন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সংসদের সংস্কারের বাধ্যবাধকতা থাকবে কি-না? আবার গণভোটের মাধ্যমে যে পরিষদ গঠিত হবে, তা বিলুপ্ত করার এখতিয়ার গণভোট ছাড়া কারো থাকতে পারে না। সেই প্রশ্নের সমাধান কিভাবে মিলবে?
প্রশ্ন উঠেছে, সাংবিধানিক আদেশ জারি কে করবেন, রাষ্ট্রপতি না প্রধান উপদেষ্টা? এই আদেশ জারিতে আপত্তি রয়েছে বিএনপির। আর রাষ্ট্রপতির আদেশ চায় না জামায়াত ও এনসিপি। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো বলেছে, বিদ্যমান আইনের অধীনে প্রজ্ঞাপন জারি করে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে হতে হবে। আর জামায়াত ও এনসিপি চায় সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।
বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে কমিশন একমত হয়েছে, একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। গণভোটের প্রশ্নের বিষয়ে প্রস্তাবৃ করা হয়েছে, ‘আপনি কি আদেশ এবং সংস্কার সমর্থন করেন কিনা?’ ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে জনগণ মতামত জানাবে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’র বিষয়টি পৃথকভাবে থাকবে না গণভোটে। তাহলে বিএনপিসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সংবিধান সংস্কারের যে ৯টি বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে, তার কী হবে? গণভোটে যদি ‘হ্যাঁ’ পাস হয় এবং বিএনপি সংসদ গঠন করে, তাহলে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়া প্রস্তাবগুলো কি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিবে বিএনপি?
বিদ্যমান অবস্থায় সংবিধান সংস্কারে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সাধারণ নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাগবে? আগামী সংসদে কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে পরিস্থিতি কী হবে? তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। আবার আগামী সংসদে কোনো দল যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, অর্থাৎ যদি ঝুলন্ত সংসদ হয়, তখন কী হবে? আবার সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে কোনো দল সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে যদি নতুন নির্বাচনের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে সেই নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে? কারণ সংবিধান সংস্কার ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হবে না। আবার সংসদ ভেঙে গেলে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের’ পরিণতি কী হবে?
এ অবস্থায় ঐকমত্য কমিশন চায় এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। আদেশের খসড়া প্রস্তাবে কী কী থাকবে, তা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বাস্তবায়নে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ নিয়ে শনিবার আবারও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সঙ্গে বসবে কমিশন। আজকালের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে সুপারিশ তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
- আমাকে ফাঁসাতে সাজানো নাটক চলছে: অধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া
- গলাচিপার চর কাজলে হাসান মামুনের জনসভায় জনস্রোত
- সেই ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সামিরা মাহি
- ঝগড়া-বোঝাপড়া নিয়ে বিয়ের আগেই মুখ খুললেন রাশমিকা
- পিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পরিচালক পদে শান মাসুদ
- মায়ামিতেই শান্তি খুঁজে পেয়েছেন মেসি
- মাথাব্যথায় ভুগছেন কিম কার্দাশিয়ান, ধরা পড়ল বিপজ্জনক রোগ
- জিটুজি ভিত্তিতে হচ্ছে নতুন ভাসমান টার্মিনাল
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে নানা প্রশ্ন
- বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম
- ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
- জাতিসংঘকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে : ড. ইউনূস
- রাজনৈতিক মামলায় ঘায়েল নেতাকর্মীদের জীবন
- ফরিদপুরে বাসর রাতে নববিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
- ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
- গাজীপুর-৩ আসনে আক্তারুল আলম মাস্টারের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
- কিছু সবজির দাম কমতি, মাছ-মাংস এখনো চড়া
- বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
- বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
- বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
- উপদেষ্টা পরিষদে বিদায়ের সুর!
- প্রধান উপদেষ্টার সৌদি সফর বাতিল
- বিএনপির মনোনয়ন চান হাফ ডজন নেতা, নির্ভার জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন
- এক সিনেমার জন্য আরেকটি ছাড়লেন সাবিলা
- শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর
- বাদ পড়ছেন কোন কোন উপদেষ্টা? যা বললেন মাসুদ কামাল
- সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে বিএনপির ৩৬ প্রস্তাব
- বৃহত্তর কুমিল্লা সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস্ সমিতি লিঃ চট্টগ্রামের সভা
- তিতাসে ৩১ দফা বিতরনে ব্যাস্ত ইন্জিনিয়ার আঃ মতিন খান
- প্রমাণ দিতে পারলে ১০ কোটি টাকা পুরস্কার দেব : ববি
- অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
- লাকসামের সালেপুরে খামার থেকে ৮টি গরু চুরি
- আজগরায় আনসার-ভিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
- অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতায় স্থবির পৌরসেবা, বকেয়া বেতন ১২৫০
- টঙ্গীর জাভান হোটেল এন্ড বারে ডিবি পুলিশের অভিযান
- মিথ্যা সংবাদের জের: জাভান হোটেলে অভিযান নিয়ে উত্তেজনা
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐক্যে নতুন ইতিহাস গড়ছে নোসাব
- আসন ভাগাভাগিতে ঐক্যের পথে ৬ ইসলামি দল
- শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন
- আন্দোলনরত শিক্ষকর শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা
- টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- পরপর অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সন্দেহ, স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান
- অর্ডার বাতিল হলে আর কারখানা চালাতে পারবো না: জেমটেক্স এমডি
- এক তরুণ বদলে দিল হবিগঞ্জের বিজ্ঞানচর্চার মানচিত্র
- অ্যাটলির নির্মাণে ববি-রণবীরের বাজিমাত
- বাবর আজম ও নাসিম শাহ টি-টোয়েন্টি দলে ফিরছেন
- লাকসামে অস্তিত্ব সংকটে খেজুর গাছ রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছিরা
- ফরিদপুরে বাসর রাতে নববিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
- ভ্যাট-ট্যাক্সের অর্থ ফেরত চায় ওষুধ শিল্প সমিতি
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা রক্ষায় সতর্ক করল আইএমএফ
- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র!
- সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন লে.জে. শফিকুর রহমান
- স্যার আবেদের স্মরণে অঝোরে কাঁদলেন ড. ইউনূস
- দ্রুত রাজাকারের তালিকা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
- মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী ও সচিবকে ক্ষমা চাইতে নোটিশ
- কার্গো বিমানে আসছে পেঁয়াজ
- নুরের ওপর হামলা দুর্ভাগ্যজনক: তোফায়েল আহমেদ
- ১০ শতাংশ কমছে টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম
- এসপি হারুনের যত অভিযোগ : গাজীপুর অধ্যায়
- রাজাকারের তালিকায় ৬০ পয়সাও খরচ হয়নি : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
- বসল ১৯তম স্প্যান পদ্মা সেতুতে, দৃশ্যমান হল ২৮৫০ মিটার
- সাদেক হোসেন খোকা আর নেই
- রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ
- আজ থেকে ৩৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করবে সরকার
- ১৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ব্যবহারের মৌখিক নির্দেশ

