শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ১৮ ১৪৩২   ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১

ইসিতে নির্বাচনি ডামাডোল, অপেক্ষা তফসিলের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৫  

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেকটা গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্বচ্ছ ব্যালট বক্সসহ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা আটটি সরঞ্জামের ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে এসে গেছে। ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত, নতুন দলের নিবন্ধন, দায়িত্বপালনকারীদের প্রশিক্ষণের কাজও চলমান। সবমিলিয়ে ইসিতে বাজছে নির্বাচনি ডামাডোল, অপেক্ষা শুধু তফসিল ঘোষণার।

 

সূত্র জানায়, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন সামগ্রীর বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে ইসি। এর মধ্যে থাকবে- ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিল, কালিসহ ভোটগ্রহণের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ। এবার স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ এবং গানি ব্যাগ।


মোটাদাগে জাতীয় নির্বাচনের মূল প্রস্তুতির মধ্যে আছে— ছবিসহ একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়ার মতো কাজগুলো।

 

এসব কাজের মধ্যে অধিকাংশই সম্পন্ন করেছে ইসি। এর মধ্যে বেশকিছু প্রস্তুতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ করতে হয়। কিছু শেষ করতে হয় তফসিলের পর। এক কথায়, জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক মৌলিক কাজগুলো শেষের পথে। কিছু কাজ বাকি, যা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চলমান থাকে। নির্বাচন কমিশন এখন তফসিল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে।

 

ভোটকেন্দ্র স্থাপন, কর্মকর্তা নিয়োগ, প্রশিক্ষণের মতো কাজগুলো তফসিলের পরে করতে হয়। রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল দিতে চায় ইসি। এজন্য সব প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

 

ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২০ অক্টোবরজাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৬১৮টির ওপর আসা দাবি-আপত্তি আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে ইসি। এরপর পর্যালোচনা শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০ অক্টোবর। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন ধরে গড়ে প্রতি তিন হাজার ভোটারের জন্য একটি কেন্দ্র রাখা হয়েছে। এ হিসেবে কেন্দ্র হবে ৪২ হাজার ৬১৮টি।

 

এছাড়া পুরুষদের জন্য প্রতি ৬শ জনের জন্য একটি কক্ষ ধরে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি ভোটকক্ষ, আর নারীদের জন্য প্রতি ৫শ জনের জন্য একটি কক্ষ ধরে এক লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি কক্ষের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশের পর এ কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা কমতে বা বাড়তে পারে।


১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

আগামী ১৮ নভেম্বর হালনাগাদ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করেছে ইসি। ৩১ অক্টোবর ২০০৭ তারিখ বা তার আগে যাদের জন্ম এমন নাগরিকরা ভোটার হতে নিবন্ধন করতে পেরেছেন। হালনাগাদ করা খসড়া ভোটার তালিকার পিডিএফ প্রস্তুত ও মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সিএমএস পোর্টালে লিংক পাঠানোর শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর।

 

হালনাগাদ করা খসড়া ভোটার তালিকা মুদ্রণ করে প্রকাশ করা হবে ১ নভেম্বর। দাবি, আপত্তি ও সংশোধনের জন্য আবেদন দাখিলের শেষ সময় ১৬ নভেম্বর। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষের দাবি, আপত্তি ও সংশোধনীর জন্য দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ নভেম্বর।


এর আগে গত ৩১ আগস্ট সম্পূরক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে দেখা যাচ্ছে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৫০৪ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি ৪১ লাখ ৪৫৫ জন এবং নারী ভোটার ছয় কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮১৯ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ১ হাজার ২৩০ জন।

 

দল নিবন্ধনের কাজ শেষ পর্যায়ে

ইসি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এখন কিছু কাজ বাকি, যেগুলো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে কারও দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন।

 

মাঠ পর্যায়ে পুনরায় তদন্তের জন্য যাচ্ছে নয়টি দলের আবেদন। ২২টি দলের মধ্যে সাতটি দলের নিবন্ধন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এনসিপিসহ দুটি দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেবে দাবি-আপত্তি থাকলে তা জানানোর জন্য। তিনটি দলের অধিকতর যাচাই চলছে। এটি শেষ হলে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত হবে।

 

আর নয়টি দলের আবারও মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করা হবে। আরও একটি দল ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিকতর যাচাই করা হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জাতীয় জনতা পার্টি ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই করবে ইসি।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চলছে সংলাপ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ অক্টোবর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। এর পরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে। মূলত দ্রুত সময়ে নতুন দল নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে ইসি। এসব কাজ মূলত জাতীয় নির্বাচনের আগেই সম্পন্ন হয়।

 

সীমানা পুনর্নির্ধারণ: ৪৬ সংসদীয় আসনে হেরফের

৩০০ নির্বাচনি এলাকার সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে কমিশন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার ৪৬টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন। বাগেরহাটে একটি আসন কমলেও বেড়েছে গাজীপুরে। সীমানা নির্ধারণের কারণে ফরিদপুরসহ নানা জেলায় আন্দোলন হলেও ইসির এক্ষেত্রে কিছু করার নেই বলে জানা যায়। এছাড়া ঘোষিত গেজেট অনুসারেই ভোট করবে ইসি। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ২৫৪টি আসনের সীমানা বহাল রাখা হয়েছে।

 

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘এবার গাজীপুরে গতবারের চেয়ে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে। বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করা হয়েছে। চূড়ান্ত সীমানা নিয়ে এখন আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ নেই।’

 

‘এবার খুব সুচারুভাবে ও বিশেষায়িত কমিটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা সীমানা নির্ধারণ করেছি। এখন নির্বাচন প্রস্তুতির অন্য কাজ খুব দ্রুত শেষ হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল কাজটি শেষ হওয়ায় ইসির কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হলো।’ বলেন আনোয়ারুল।

যেসব আসনের পরিবর্তন

পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, পাবনা-১ ও ২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ৩ ও ৪, মানিকগঞ্জ-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, ফরিদপুর-২ ও ৪, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬ ও ১০, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮।


চলছে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ৭৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষক তৈরির প্রশিক্ষণ, যা শেষ হবে অক্টোবরে। এতে তিন হাজার ৬শ কর্মকর্তাকে ১৫০টির মতো ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরাই আবার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাসহ প্রায় ১০ লাখের মতো লোকবলকে পরবর্তীসময়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণ খাতে প্রায় একশ কোটি টাকার মতো সম্ভাব্য ব্যয় ধরেছে ইসি।

 

প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিতে পোস্টাল ব্যালটের কাজ চলমান

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে ‘দেশের বাইরে ভোটদান সিস্টেম উন্নয়ন এবং বাস্তবায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পোস্টাল ভোটের জন্য নতুন এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে প্রবাসীদের ভোট গ্রহণের জন্য। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। এজন্য পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪শ কোটি টাকা। ভোটারপ্রতি ব্যয় হবে গড়ে ৭শ টাকা।

 

আরপিও চূড়ান্ত: পলাতক আসামি ‘ভোটে অযোগ্য’
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পদ্ধতি বাতিল করেছে ইসি। এছাড়া যে কোনো পলাতক আসামি ভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ‘অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন। এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে না। প্রার্থী বা তার প্রস্তাবকারী/সমর্থনকারীকে সশরীরে রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব বিধানসহ একগুচ্ছ সংশোধনী এনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছে ইসি।

 

পোলিং স্টেশন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তৈরি করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে থাকা কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন না। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে ওই ব্যক্তির প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং সংসদ সদস্য পদ হারাবেন। প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

 

এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আদালতের দৃষ্টিতে ফেরারি আসামিকে ভোটে অযোগ্য রাখার বিধান যুক্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। আরপিওতে যোগ্যতা-অযোগ্যতায় আগে ব্যক্তি কোনো অপরাধে সাজা পেলে তবেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হতেন। তবে নতুন এ বিধানের ফলে মামলার রায় ঘোষণার আগে শুনানিতে অনুপস্থিতির দায়ে আদালত কাউকে পলাতক ঘোষণা করলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। যে সব আসনে একক প্রার্থী থাকবে সেসব আসনে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে।

 

এআই মোকাবিলায় সতর্ক ইসি

নির্বাচনে কোন কোন বিষয় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে সেগুলো নিয়েও ভাবছে ইসি। এর মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইর ব্যবহার এবারের নির্বাচনে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই হুমকি ঠেকানোর সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে এখনই ভাবছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আরপিও, আচরণবিধিসহ নয়টি আইন সংশোধন করা হয়েছে। ভোটের প্রচারে এআইর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভুয়া তথ্য ও ফেক কনটেন্ট ঠেকাতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে ইসি।

 

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়ার তার অনেক কিছু এগিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

 

এই বিভাগের আরো খবর