ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে ভারতের ভূমিকা কী?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৩

প্রায় এক বছর আগের ঘটনা। দিল্লির জওহর ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয়া হল : র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলার চেষ্টায় বাংলাদেশ কি ভারতের সাহায্য চেয়েছে? ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো সেরকমই দাবি করেছেন!
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এমনিতে খুবই সপ্রতিভ একজন কর্মকর্তা। সব প্রশ্নের ঝটিতি উত্তর থাকে তার ঠোঁটের ডগায়। কিন্তু এই প্রশ্নে তাকেও রীতিমতো অপ্রস্তুত দেখা যায়। যেন কী বলা যায় বুঝেই উঠতে পারছেন না তিনি।
শেষে কিছুটা আমতা আমতা করেই তিনি যা বললেন তার মর্মার্থ হল, বাংলাদেশ যদি এরকম অনুরোধ জানিয়েও থাকে, তাহলে তার ডিটেলস বা ভারত তাতে সাড়া দিয়ে কিছু করেছে কি না, সেগুলো নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা করা বোধহয় ঠিক হবে না।
ঘটনাচক্রে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সে দিনই আবার সরকারি সফরে ঢাকায় যান। দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও।
সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে মুখপাত্র আরও জানান, ‘আগে দেখি, ঢাকায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকগুলো আগে শেষ হোক। তারপর এ বিষয়ে কোনও তথ্য যদি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি, অবশ্যই করব।’
না, এরপর আর কোনও তথ্য মিডিয়াকে জানানো হয়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তদবির করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে– এই বক্তব্য দিল্লি যেমন নিশ্চিত করেনি, তেমনি আবার অস্বীকারও করেনি।
আসলে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ– এই মুহূর্তে উভয়েরই দারুণ কূটনৈতিক সম্পর্ক। ফলে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনও অস্বস্তি তৈরি হলে সেটা নিরসনের জন্য ভারতের চেষ্টা চালানোটা কোনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর সেটা বহুদিন ধরে হয়েও আসছে বলে পর্যবেক্ষকরা বলছেন।
তবে বিষয়টা বেশ স্পর্শকাতর বলেই এটা নিয়ে কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। যদিও গত বছর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেনের র্যাব নিয়ে সেই মন্তব্য ছিল অবশ্যই ব্যতিক্রম।
তাছাড়া ভারত যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি, তাই এই অঞ্চলের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তারা ভারতের মতামতকে আমলে নিয়ে থাকে। এটাও বহু দিন ধরেই লক্ষ্য করা গেছে।
যদিও সম্প্রতি ভারতকে কিছুটা এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ডিল’ করছে এরকম একটা প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারপরও ঢাকা ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের একটা ছায়া বা প্রভাব যে আছেই, তা অস্বীকার করার উপায় নেই।
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যেভাবে আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেছেন এবং দুই দেশের সম্পর্কে নানা অস্বস্তিকর বিষয় দেখা যাচ্ছে, তাতে ভারতের সেই ‘ভূমিকা’ যথারীতি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
• অভিন্ন স্বার্থ, অভিন্ন চ্যালেঞ্জ
ভারতের সাবেক শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিবিদ রিভা গাঙ্গুলি দাস তিন বছর আগেও ঢাকায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি এ কথা মানতে রাজি নন যে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার কোনও প্রশ্নে মতবিরোধ হলে ভারত তাতে নাক গলিয়ে থাকে।
বরং আমি তো বলব বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ভারত যদি তাদের কোনও বিষয় নিয়ে তৃতীয় কোনও দেশের ওপর প্রভাব খাটাতে যায় তাহলে তারাই বা সেটা পছন্দ করবে কেন?, বিবিসিকে বলছিলেন সাবেক এই হাইকমিশনার।
‘তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশ ও আমেরিকা উভয়েই ভারতের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ। দিল্লির সঙ্গে এই দুটি ‘বাইল্যাটারালে’ অনেক কমন ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) যেমন আছে, তেমনই অনেক কমন চ্যালেঞ্জও আছে।’
‘সেগুলোর কোনোটা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ভারত নিজের প্রয়োজনেই সেগুলো অ্যাড্রেস করতে চাইবে, এর মধ্যে তো কোনও ভুল নেই। কে না চাইবে তার দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মধ্যেও সম্পর্কটা ভাল থাকুক!’ যোগ করেন গাঙ্গুলি দাস।
তবে বাস্তবতা হল, সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব কিছু সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় তৃতীয় পক্ষের ওপর প্রভাব খাটাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছে– আর সেটা প্রকাশ্যেই।
যেমন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার পথকে সুগম করতে ভারত যাতে ‘বন্ধু’ মিয়ানমারের ওপর প্রভাব খাটায় বাংলাদেশ একাধিকবার সেই অনুরোধ জানিয়েছে এবং দুদেশের যৌথ ঘোষণাপত্রেও তার উল্লেখ আছে।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুর পরমাণু কেন্দ্রের সরঞ্জাম নিয়ে আসা রুশ জাহাজ যখন বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে পারেনি, ভারত তখন ঢাকার সাহায্যে এগিয়ে এসেছে এবং মস্কোর সঙ্গে দিল্লির সুসম্পর্ককেও সেখানে কাজে লাগানো হয়েছে।
দিল্লিতে পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ ও বিজেপির ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক শুভ্রকমল দত্ত মনে করেন, একই জিনিস আমেরিকার সঙ্গেও না-হওয়ার কোনও কারণ নেই।
তিনি বলেন, দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্কটা এখন এমনই যে শেখ হাসিনা যদি নরেন্দ্র মোদিকে কোনও কঠিন অনুরোধও জানান, তাহলেও সেটা কিছুতেই ফেলা সম্ভব নয়।
‘আর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ব্যক্তিগত হৃদ্যতাও যে কতটা নিবিড়, দু’দিন আগে জাপানেই তো আমরা তার প্রমাণ পেলাম।’
শুভ্রকমল দত্ত বলেন, ফলে বাইডেন ও হাসিনার মধ্যে কোনও বিষয়ে দূরত্ব তৈরি হলে ব্যক্তিগতভাবে নরেন্দ্র মোদি সেখানে হস্তক্ষেপ করে ভুল বোঝাবুঝি দূর করার ক্ষমতা রাখেন, এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি সেটা করবেন বলেও আমি নিশ্চিত।
এমনকি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রশ্নবিদ্ধ সাধারণ নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র যাতে মেনে নেয়, সে ব্যাপারেও ভারত যথেষ্ঠ ‘সক্রিয় ভূমিকা’ নিয়েছিল বলে মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
• সমস্যার নাম র্যাব ও রাশেদ
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিবিসি দিল্লিতে একাধিক সাবেক কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে বা দিল্লিতে বাংলাদেশ ডেস্কেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে তাদের অনেকেই নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। কিন্তু তারা এই প্রসঙ্গে এমন অনেক ‘ডিটেল’ শেয়ার করেছেন, যা খুবই কৌতূহলোদ্দীপক।
এমনই একজন বলছিলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার নামে আমেরিকা যেভাবে বিরোধীদলকে প্রকাশ্যে তোল্লাই দিয়ে থাকে বা বিরোধী নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করে, ভারতও কিন্তু সেটা পছন্দ করে না। বাংলাদেশ তুলনায় ছোট দেশ বলেই বোধহয় ওখানে ওটা করা যায়।
‘ভারতেও যদি মার্কিন দূতাবাস এ দেশের বিরোধীদের নিয়ে এই জিনিস করত, তাহলে দিল্লিতেও কোনও শাসক দলই সেটা পছন্দ করত না বলাই বাহুল্য। ফলে এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ক্ষোভ যুক্তিসঙ্গত বলেই দিল্লির বিশ্বাস।’
এই বিষয়টি ভারত সাম্প্রতিক অতীতে আমেরিকার সঙ্গে তাদের আলোচনায় একাধিকবার উত্থাপন করেছে বলেও তিনি জানাচ্ছেন। এমনকি বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন না তুলে সে দেশের জনগণের ম্যান্ডেটকে মেনে নিতেও আমেরিকাকে তারা বহুবার পরামর্শ দিয়েছে।
আর একজন সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ বলছিলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বিষয়গুলো নিয়ে মনোমালিন্য, সেগুলো এমন কোনও গুরুতর ইস্যু নয় যে আপস রফা করা যাবে না– এমনটাই দিল্লির ধারণা।
তার কথায়, যেমন ধরুন, দুটি সমস্যার কথা বলতে পারি। এক. র্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা। যে এলিট ফোর্স আমেরিকার পরামর্শেই তৈরি হয়েছিল সেটা এখন কীভাবে তাদেরই চক্ষুশূল হয়ে উঠল, বাংলাদেশ সরকারের এই প্রশ্ন কিন্তু ভারতেরও প্রশ্ন।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটা হল রাশেদ চৌধুরীর আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকা।
‘বাংলাদেশের জাতির জনকের যিনি আত্মস্বীকৃত খুনী, ফাঁসির আসামি হওয়া সত্ত্বেও তিনি কীভাবে বহাল তবিয়তে আমেরিকায় থাকেন এবং কেন তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না, ভারত এটাকেও বৈধ প্রশ্ন বলেই মনে করে।’
এই দুটি ইস্যু নিয়ে ভারত বিভিন্ন পর্যায়ে আমেরিকার সঙ্গে একাধিকবার কথাবার্তা বলেছে বলেও তিনি আভাস দিচ্ছেন।
ভারতে পর্যবেক্ষকরা অনেকে এ কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নে যুক্তরাষ্ট্র সর্বশক্তিতে বাধা দিয়েছিল এবং সমকালীন সেই ইতিহাস মাত্র পঞ্চাশ বছরের পুরোনো বলেই মানুষের স্মৃতি থেকে তা হারিয়ে যায়নি।
‘‘ফলে ভারত মনে করে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কিছু ‘রাফ প্যাচ’ থাকবেই– তবে সেটা দূর করার জন্য ভারতের কিছু করণীয় থাকলে তারা সেটা করতেও দ্বিধা করবে না,’’ বলছিলেন এমনই একজন কূটনৈতিক বিশ্লেষক।
সম্প্রতি বাংলাদেশ তাদের যে বহুপ্রতীক্ষিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক’ নীতি ঘোষণা করেছে, তাতেও যেহেতু চীনের দিকে না ঝুঁকে একটা ভারসাম্য বিধানের কথা বলা হয়েছে সেটাও আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে দিল্লিতে পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
• ভারতের স্বার্থটা কী?
দিল্লি-ঢাকা-ওয়াশিংটনের এই কূটনৈতিক ত্রিভুজে পারস্পরিক স্বার্থের অংকটা যে প্রবলভাবেই আছে তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।
ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোনও ‘লাভ’ না থাকলে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করার চেষ্টায় ঢুকতেই যাবে না, তাও বলাই বাহুল্য।
মাস চারেক আগে আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘দ্য ডিপ্লোম্যাটে’ অনেকটা এ প্রসঙ্গেই একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক তথা এশিয়া সোসাইটির ফেলো আনু আনোয়ার।
সেই নিবন্ধে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ‘ভূ-রাজনৈতিক যুদ্ধ’ চললেও এই লড়াইতে আসলে কিন্তু ভারতেরই জয় হচ্ছে। কারণ নিজেদের সম্পদ খরচ না করেও তারা বেইজিং ও ওয়াশিংটনকে পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলিয়ে দিতে পারছে।
কেন তিনি এমন একটা মূল্যায়ন করছেন, নিবন্ধে তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন হার্ভার্ডের ওই গবেষক।
তিনি সেখানে যুক্তি দিয়েছেন, বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই কিন্তু সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো বাংলাদেশের ওপর তাদের চাপ বাড়াচ্ছে।
‘অথচ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও ভারত কিন্তু মোটেই সেই রাস্তায় হাঁটছে না। বরং আওয়ামী লীগ সরকারকে বাইরের এই চাপ থেকে আড়াল করার জন্য যা যা করা সম্ভব তার সবই তারা করছে।’
আনু আনোয়ারের মতে, ভারত জানে গণতন্ত্র নিয়ে বাংলাদেশকে প্রচ্ছন্নভাবেও চাপ দিতে গেলে সেখানে তাদের সমর্থনের ভিত নড়ে যাবে। তাই তারা এই দায়িত্বটা ছেড়ে দিয়েছে আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর।
উল্টোদিকে তারা নিজেরা এমন সব পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে শেখ হাসিনার সরকার কিছুতেই বিপর্যয়ের মুখে না পড়ে।
ওই নিবন্ধের বক্তব্য অনুযায়ী, এতে করে দিল্লির ওপর ঢাকার নির্ভরশীলতা ক্রমশ বাড়ছে এবং ভারত এটা সচেতনভাবে করছে। কারণ তারা জানে যতদিন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকবে ততদিন তারা প্রত্যাশারও বেশি পাবে। ঠিক একই কারণে ভারত যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক সহজ করার জন্য সক্রিয় ও সচেষ্ট থাকবে– তা সহজেই বোধগম্য।
- নরসিংদীতে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, আহত ২৫
- ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করল জামায়াতসহ ৭ দল
- গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাড়ছে চাপ
- নরসিংদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
- শত বাধা পেরিয়ে বলিউড ও হলিউডে সফল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
- এআই ট্রেন্ডে আবেগঘন বার্তা দিয়ে ভক্তদের হৃদয় ছুঁলেন আলিয়া ভাট
- গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন: ইসরায়েল একঘরে, ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি
- তফসিলের আগেই চমক: তরুণদের হাতেই বিএনপির মনোনয়ন!
- গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে এনসিপির মাথাব্যথা, প্রয়োজনে আন্দোলন
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্যের আশা প্রকাশ করলেন আলী রীয়াজ
- রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- জামায়াতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রুমিন ফারহানার
- রাকসুর ব্যালটে শিক্ষার্থীরা প্রমাণ দেবে রাবিতে ছাত্রদলই শক্তিশালী
- তিন দফা দাবিতে সাতরাস্তায় কারিগরি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
- কোনো পদক্ষেপেই কাজ হচ্ছে না, কে থামাবে ‘বাংলার টেসলা’?
- নীরব মহামারি: ব্যাটারিচালিত রিকশায় পঙ্গুত্বের করুণ কাহিনি
- রবিবার অন্ধকারে ঢাকবে সূর্যের আলো
- চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ-দালালদের দৌরাত্ম্যে বিপর্যস্ত ঢাকা মেডিকেল কল
- সত্যিই কি ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি সুন্দরী নায়িকা হানিয়া আমির?
- ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ
- ব্যবসা মাঝে মন্থর ছিল, এখন একটু ভালো: অর্থ উপদেষ্টা
- দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া কে এই হানিয়া আমির
- রংপুরে পদ্মরাগের ৬ বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ
- ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
- বাংলাদেশকে টপকাতে জাহাজ ভাঙায় প্রণোদনা দিচ্ছে ভারত
- ভুয়া তথ্যের অভিযোগে ট্রাম্পের মামলা নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে
- মা-ছেলের খুনসুটি ধরা পড়ল শাকিবের ভিডিওতে
- সাক্ষ্য দিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান
- ‘শত্রুতা’ ভুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করল তৃণমূল
- আবাসিক প্লটে ‘রহস্যঘেরা’ উড়োজাহাজ
- ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন
- নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ
- পবিপ্রবির তাপসী রাবেয়া হলে নবীনবরণ
- কুমিল্লা সুপার বাস ও মিশুকের মুখোমুখি সংঘর্ষ
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি: বিশ্ব রাজনীতির নতুন বাস্তবতা
- দেবের প্রথম ক্রাশ, শুভশ্রী-রুক্মিণী নন
- ডমেস্টিক টার্মিনালের সামনে কোমর পানি, যাত্রীদের ভোগান্তি
- মনিরামপুরে বিধবার ঘরে বিতর্কে বিএনপি নেতা বরখাস্ত
- জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা সংশপ্তক প্যানেলের
- কবি নজরুল হলে ৪৫ মিনিটে ভোট পড়েছে ১২টি
- গাজীপুরে র্যাব-১ এর বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তি গ্রে
- প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নয়: বিএমএসএফ
- ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করায় শিক্ষকদের ক্ষোভ, কখন রেজাল্ট অজানা
- জাকসু নির্বাচনের মঞ্চেই নিভে গেল তরুণ শিক্ষিকার আলো
- শ্রীমঙ্গলে চেকপোস্টে ধরা পড়ল বিদেশি মদের চালান
- ইইউবি ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে জালিয়াতি
- জমি দখল ও প্রাণে বাঁচতে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি
- ছাত্রদলের ভোট বর্জনের পর সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
- জাকসু নির্বাচন: ফল ঘোষণায় বিলম্ব, বিকেলে গণনা শেষ হওয়ার আশা কমিশন
- দুর্বলতা ও প্রতিপক্ষের কৌশলে ভরাডুবি ছাত্রদলের
- বাংলাদেশীরা সৌদি নারীদের বিয়ে করতে পারবেন!
- মিয়ানমারকে ৩১ বছরের ‘পুরনো’ সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত
- পাকিস্তানে ৩০০ রুপি ছাড়ালো টমেটোর দাম
- মোশাররফের দেহ রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ
- জিম্বাবুয়েতে পানির অভাবে দুই শতাধিক হাতির মৃত্যু
- ১০ হাজার সেনা-পুলিশ মোতায়েন
কী ঘটবে আসামে ? - থাইল্যান্ডে বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ১৫
- ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভিসা দিল না যুক্তরাষ্ট্র
- শ্রীলংকায় এবার মসজিদে বোমা হামলা
- শ্রীলঙ্কায় রক্তবন্যা: নিহত বেড়ে ২০৭
- সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
- ছাত্রের সঙ্গে যৌনমিলন, কারাগারে শিক্ষিকা
- সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
- কানাডায় জাস্টিন ট্রুডোর দল আবারও ক্ষমতায়
- মসজিদ নাকি মন্দির! মামলার রায় আজ