বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯০

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও চরম ভোগান্তি

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২১  

করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গণপরিবহন ও জনসমাগম। ঘোষিত কিংবা অঘোষিত, লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। প্রথমে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও, পরে বলা হয় কড়াকড়ি আরোপ। এ নিয়ে একদিকে যেমন ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি, অপর দিকে জনগণের ভোগান্তি।
 
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান, মহাখালী, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অফিসগামী মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তায়। গাড়ি না থাকার সুযোগে বাড়তি ভাড়া চাচ্ছেন সিএনজি ও রিকশা চালকরা। অপর দিকে এসব পয়েন্টে ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা।

শুধুমাত্র জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার কথা বললেও হোম অফিস কিংবা বন্ধ ঘোষণা করেননি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ফলে প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মচারিরা। পাশাপাশি কাঁচাবাজার, ওষুধ ও খাবারের দোকানসহ শিল্প কারখানাগুলোও খোলা রাখা হয়েছে। যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা ব্যক্তিগত যাতায়াত সুবিধা না থাকায় পড়েছেন ভোগান্তিতে।

এর আগে মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে প্রথম দিনে রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। রাস্তা অবরোধ করে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বেশ কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

লকডাউন নাকি চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ, এ নিয়ে জনমনে রয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই আবার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিষয়টি নিয়ে। ব্যবসায়ীদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মার্কেট খোলা রাখতে চান তারা। যেসব অফিসগামীরা রাস্তায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, তাদের প্রশ্ন- অফিস যদি খোলাই থাকে তবে, পরিবহণ বন্ধ রেখে লাভ কী? মাঝখান থেকে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর