মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ৩১ ১৪৩২   ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৪৬

বাবার খোঁজে ডিএনএ নমুনা দিতে হাসপাতালে শিশু ফাইজা

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২২  

ডিএনএ-এর নমুনা দিতে দীর্ঘ হচ্ছে অশনাক্ত মরদেহের স্বজনদের সারি। এ সারিতে আছে সাত মাসের শিশুও।

চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হচ্ছে পরিবেশ। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় নমুনা সংগ্রহকারী সিআইডির ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে অন্তত এক মাস।

নিখোঁজ ছেলে মাইন উদ্দীনের খোঁজে কেঁদে যাচ্ছেন বাবা হেলায়ত উল্লা। বুকের মানিকের ছবি বুকে ধারণ করে ছেলের মরদেহ পাওয়ার আকুতি বাবার। নোয়াখালী থেকে এসে কাকডাকা ভোর থেকে অপেক্ষায় তিনি।
 
অন্যদিকে বাবার খোঁজে মামার কোলে ছড়ে সাত মাস বয়সী ফুটফুটে শিশু ফাইজা। চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা বাবাকে শনাক্তে তাকেও দিতে হচ্ছে অন্যদের মতো এই বয়সে ডিএনএ-এর নমুনা। 
দুই শিশুকে নিয়ে নোয়াখালীর বাসিন্দা স্বামী জুয়েলের খোঁজে স্ত্রী জেসমিন। যদিও দুই শিশু নিয়ে তার অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ভোর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে দীর্ঘ হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনের সারি। সৃষ্টি হচ্ছে নাানা মানবিকতার গল্পও।
 
ডিএনএর নমুনা সংগ্রহে চুল, রক্ত ও লালা নেয়া হচ্ছে স্বজনদের। রিপোর্ট দেয়া হবে এক মাস পর। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট সিআইডির এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি খুবই জটিল এবং স্পর্শকাতর। এ কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হবে। এক মাস পর আমরা রিপোর্ট দিতে পারব বলে আশা রাখি।’ 
নিহতদের মধ্যে ২৩ জনকে শনাক্ত করা গেলেও ১৮ জনের স্বজনের নমুনা নেয়া হবে মরদেহ শনাক্তে।

এই বিভাগের আরো খবর