মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩২   ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১

"দেশের মাটিতেই থাকতে চাই": খালেদা জিয়া

নাজমুল হুদা

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫  

শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর রাতে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন থাকলেও তিনি নিজ দেশেই চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার ইচ্ছাপোষণ করেছেন।

 

 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁর পরিবার ও দল উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে ঢাকায় আসেন। পেশায় চিকিৎসক ডা. জুবাইদার মূল উদ্দেশ্য ছিল শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়া। বর্তমানে তিনি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সার্বিক তদারকি করছেন।

 

তবে বিএনপির ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে, ডা. জুবাইদা রহমান নিশ্চিত করেছেন যে তাঁর শাশুড়ি চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে চান না। তিনি এ দেশেই চিকিৎসা নিতে আগ্রহী। সূত্রটি আরও জানায়, গত ২৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির সময়েও খালেদা জিয়া স্বজন ও চিকিৎসকদের বলেছিলেন যে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও যেন তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়া না হয়। তিনি দেশের মাটিতেই থাকতে চান।

 

অন্যদিকে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডও তাঁকে এই মুহূর্তে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা মনে করছেন, দীর্ঘ আকাশপথে ভ্রমণের মতো শারীরিক সক্ষমতা বর্তমানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নেই। তাঁকে এই অবস্থায় দেশের বাইরে নেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

 

 

আপাতত বেগম জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন থাকবেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং যেকোনো মুহূর্তেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। বিদেশে স্থানান্তরের উদ্যোগ সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।

 

বদ্ধ থাকছে, যা সংকটপূর্ণ মুহূর্তে তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।

এই বিভাগের আরো খবর