শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১৯

দেশের তরুণ-তরুণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মিত সব অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প এলাকার স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের কার্যালয়ে নির্বাচিত মাদরাসাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহিবুল হাসান বলেন, একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিক্যালসহ বিভিন্ন রকমের কারিগরি কার্যক্রম হয় এবং একটি প্রকল্প কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর চলে। কোনো শিক্ষার্থী যদি এক থেকে দেড় বছর প্র্যাকটিক্যাল দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হবে। একজন দক্ষ কর্মীকে কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ ও প্রাকটিক্যাল টেস্ট নেয়া হবে এবং তাদেরকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিটি মাদরাসাকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল সেন্টারে পরিণত করা হবে। এতে করে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বেকার থাকবে না। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

উপমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করতে পারবে না। আমাদের কোমলমতি শিশুদের আমরা অনিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। আমাদের দেশের প্রচুর দক্ষ শ্রমিক বিদেশে কাজ করে কিন্তু তাদের কোনো সার্টিফিকেট না থাকায় তারা অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। সরকার এই বিষয়টি মাথায় রেখে সকল দক্ষ শ্রমিকদের সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করবে। সেই সঙ্গে যুব সমাজকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচিত মাদরাসাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ১৮০০টি মাদরাসার নতুন ভবন তৈরি করা হবে। প্রত্যেক মাদরাসা ভবন নির্মাণ করতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ওই মাদরাসা এলাকার শিক্ষার্থী এবং আশপাশের বেকার যুবকরা এই ভবন নির্মাণের সময় প্যাকটিক্যাল দক্ষতা নিতে পারবেন এবং কারিগরি বোর্ড তাদেরকে সার্টিফিকেট দেবে। প্রত্যেক ভবণ নির্মাণকালীন কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক তৈরি করা হবে। শুধুমাত্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯০ হাজার দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা হবে।

মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাশুক মিয়া ও জাকির হোসেন, কারিগরি অধিদফতরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ মোল্ল্যা প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর