সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১ ১৪৩২   ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho

জাতীয় নির্বাচনের আগে উদ্বেগ: সংস্কারে বরাদ্দ ১২৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫  

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন ১২ হাজার ৫৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুণ অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। জরাজীর্ণ দরজা-জানালা থেকে শুরু করে অনেক বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর না থাকায় ভোটগ্রহণের সময় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছে নির্বাচন কমিশন।

 

এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভোটকেন্দ্রগুলোকে উপযোগী করে তোলার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ১২৪ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে।

 

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অর্থ উপদেষ্টার কাছে এই ১২৪ কোটি টাকা চেয়ে আধা-সরকারি পত্র (ডিও) দেওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় এই বরাদ্দ দিয়েছে।

 

সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) মূল বাজেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও মেরামতের জন্য উন্নয়ন খাতে কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি যেহেতু আশ্বাস দিয়েছেন যে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য অর্থের কোনো সমস্যা হবে না, তাই জাতীয় নির্বাচনের এই জরুরি প্রয়োজনে বাজেটের বাইরে এই বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। ইসি চায়, ভোটগ্রহণের আগেই যেন কেন্দ্রগুলো ত্রুটিমুক্ত ও নিরাপদ হয়।

অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টি সম্পৃক্ত হওয়ায় অর্থ বিভাগ এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও ছোটখাট মেরামতের খাতে বরাদ্দ থাকা সব অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে। ফলে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত এই ১২ হাজার ৫৩১টি বিদ্যালয় সংস্কার করা না হলে, নির্বাচনের পাশাপাশি আগামী দিনে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাও বিঘ্নিত হতে পারত। এই জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কেবল ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃতব্য বিদ্যালয়গুলোর জন্য বিশেষ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল।

 

এই বিশেষ বরাদ্দ পাওয়ার পর সংস্কার ও মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোটকেন্দ্রগুলো নির্বাচন উপযোগী করে তোলা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরো খবর