বৃহস্পতিবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ১ ১৪৩২   ২৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫

কৃষকদের হাতে বাংলাদেশের আগামী গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের শক্তি নিহিত রয়েছে সেই হাতে, যে হাত মাটিতে চাষ করে। বিএনপি সেই কৃষকদের হাতকে শক্তিশালী করবে, যাতে তারাই গড়ে তোলে বাংলাদেশের আগামী।

 

বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, “কৃষকদের পরিশ্রমে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তাদের ত্যাগে পুষ্ট হয়েছে, আর তাদের দৃঢ়তায় হয়েছে শক্তিশালী। বগুড়ার উর্বর মাঠ থেকে বরিশালের ভাসমান বাগান পর্যন্ত প্রতিটি শস্যদানায় লুকিয়ে আছে তাদের সহনশীলতার গল্প ও আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যৎ।”

 

তিনি বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে, খাদ্য নিরাপত্তা সম্ভব সরকারের, কৃষকের, উদ্যোক্তার এবং জনগণের যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, যেখানে সবাই মিলে গড়ে তুলবে একটি টেকসই খাদ্যব্যবস্থা।”

 

জাতীয়তাবাদী নেতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুর্ভিক্ষের ছায়ায় জিয়া নেতৃত্বে আসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেন। সেচ সম্প্রসারণ, খাল পুনরুদ্ধার ও বহুমুখী ফসল চাষের মাধ্যমে তিনি দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে নেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সার ভর্তুকি, বিদ্যুতায়ন ও ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষককে ক্ষমতায়িত করেন।”

 

বর্তমান বৈশ্বিক খাদ্যসংকটের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পানি সংকট ও জলবায়ু হুমকির মুখে এখন আগের চেয়ে দৃঢ় ভিত্তিতে দাঁড়ানো প্রয়োজন— শুধু নিজেদের জন্য নয়, বরং ১১.৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্যও। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় তারা মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় টিকে আছে। এই সংকটে সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

 

বিএনপির খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা রূপরেখা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “প্রতিটি কৃষককে নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে তারা সরাসরি সার, ভর্তুকি, ন্যায্যমূল্য, ঋণ, ফসল বিমা ও সরকারি ক্রয়ে অংশ নিতে পারবেন— মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই।”

 

তিনি জানান, বিএনপি ২০ হাজার কিলোমিটার নদী ও খাল পুনরুদ্ধার, সম্প্রদায়ভিত্তিক সেচব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের মাধ্যমে পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে “অলটারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রায়িং” পদ্ধতিতে ধান চাষ সম্প্রসারণ করে পানি সাশ্রয় ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে।

 

তারেক রহমান বলেন, “কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাতে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আধুনিক গুদাম, কোল্ড স্টোরেজ, প্রক্রিয়াজাত শিল্প ও রপ্তানিমুখী খাদ্যশিল্পের মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়ানো হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ড্রোন প্রযুক্তি, যান্ত্রিকীকরণ ও স্টার্টআপ ফান্ড প্রদান করা হবে।”

 

তিনি আরও যোগ করেন, “বিএনপি একটি মানবিক ও উদ্ভাবনী খাদ্যব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে— যেখানে কৃষক সম্মানিত, উদ্ভাবন স্বীকৃত, এবং বৈশ্বিক দায়িত্ব নিশ্চিত। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত বিশ্বে উদাহরণ হতে পারে, যেখানে খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন ও কৃষকের মর্যাদা একসূত্রে গাঁথা।”
 

 

এই বিভাগের আরো খবর