বৃহস্পতিবার   ১০ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২৫ ১৪৩১   ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬৩

শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করে

ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪  

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রবণতা বেড়েছে । স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নানা কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা রোমান্টিক সম্পর্কে ব্যর্থ হয়ে এবং আর্থিক সংকটের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অন্যদিকে  স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সাধারণত পরিবারের সদস্যদের প্রতি মান-অভিমান থেকে। 

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণগুলো: পারিবারিক কলহ, উত্ত্যক্ত, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি, হতাশা, মানসিক সমস্যা, আর্থিক সমস্যা, আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ, পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা আশানুরূপ ফল করতে না পারা, পড়াশুনার চাপ ইত্যাদি।

মনোবিদরা বলছেন, ‘না’ কে মেনে নিতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বেশিভাগ সময়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষণিকের সিদ্ধান্তে আত্মহত্যা করে ফেলছে। এর জন্য আগে থেকে দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনা থাকে না। ছোটবেলা থেকেই চাপ মোকাবিলা করার ক্ষমতা যাদের কম বা যাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কম তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।


মনোবিদদের পরামর্শ সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সন্তান লালন পালনের ধরণ-এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু মানসিক চাপ মোকাবিলা করতে শেখে। 

বাবা-মায়ের করণীয়: সন্তানের সব আবদার মেনে নেওয়া যাবে না, সব আবদার মেনে নিলে শিশু বড় হয়েও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে না। এ ধরণের শিশুরা সামাজিকভাবে মেলামেশা কম করে কারণ তারা পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে খুব বেশি মানিয়ে নিতে চায় না।  

শিশুকে অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিলে পরোক্ষভাবে তাকে ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দেওয়া হয়। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাহিদাও বড় হতে থাকে।

মনে রাখতে হবে, বাবা-মা যখন হঠাৎ করে যদি সন্তানের চাহিদার লাগাম টানতে চায়, তখন তারা আবেগ মোকাবিলা করতে পারে না। এর এক পর্যায়ে তারা আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্তও নিয়ে নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সচেতন হওয়া উচিত। অতিরিক্ত শাসন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ যেমন বাচ্চাদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি করে তেমনি, নিয়ন্ত্রণের রশি সন্তানের হাতে দিলেও সেটার পরিণতিও ভালো হয় না।